Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্যামনগরে লবনাক্ততার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ

    রনজিৎ বর্মন, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৩ PM
আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


লবনাক্ততার প্রভাব, পানি সংকট, রোগ বালাইয়ের প্রকোপ কম, একই সাথে ফলনে বেশি প্রাপ্তির আশায় বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার জাওয়াখালী গ্রামে হাসিনা খাতুন। বাড়ির আঙ্গিনায় ১৫টি বস্তায় পেয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, লাল শাক, ফুল কপি, মূলাসহ অন্যান্য সবজি চাষ করেছেন।

হাসিনা বেগমের বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা সদরে নকশীকাঁথা মহিলা সংগঠনের একজন গ্রুপ সদস্য  হিসেবে ভিএসও বাংলাদেশের অপসন প্রকল্পের আওতায় বিগ লটারী ফান্ডের অর্থায়নে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পান এবং তার পরেই চাষ শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, তার স্বামী দুঘটনায় মারা যাওয়ার কারণে বাবার ভিটায় থাকেন ১ ছেলে নিয়ে। সন্তানের লেখা পড়ার খরচ চালানোসহ নিজের খরচ চালাতে এ সকল সবজি চাষ বা দর্জি কাজ করে থাকেন। হাসিনা বেগম বলেন, তার দেখাদেখি এলাকায় কয়েকজন চাষি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং শুরু করেছেন।

হাসিনা খাতুন বস্তা পদ্ধতির সবজি চাষ বিষয়ে বলেন, এ পদ্ধতিতে সুবিধা হল ফসলে রোগবালাই কম হয়, লবনাক্ততার হাত থেকে রেহাই পাওয়া, ফলনে বেশি পাওয়া যায়, একই সাথে জায়গা কম লাগে। তিনি আরও বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করে ফলনে সবজি বেশি পেয়েছেন। জানা যায় বস্তা পদ্ধতি সবজি চাষে খরচ কম। বস্তা প্রতি হাসিনা বেগমের খরচের বিষয়ে জানান ৭০ থেকে ৮০টাকা। একটি বস্তার মধ্যে যে সকল উপকরণ ব্যবহার করেন সে গুলো হল ৭ ঝুড়ি মাটি, ভার্মি কম্পোষ্ট ৩ কেজি, গোবর, মুরগির বিষ্টা ও পানি। জানা যায় বস্তায় ২/৩ দিন অন্তর পানি দিতে হয় ২ লিটার  পরিমানে।

এদিকে হাসিনা বেগমের দেখাদেখি জাওয়াখালি গ্রামের দেবাশিষ মালো ২০টি বস্তায় ফুলকপি, লাউ, এলাভেরা, টমোটোসহ অন্যান্য সবজি চাষ করেছেন।এবিষয়ে তিনি বলেন, বস্তার মধ্যে মাটি, জৈব সার, টিএসপি, ইউরিয়া ব্যবহার করেছেন। প্রতি সপ্তাহে পানি দিয়ে থাকেন। চাষের সুবিধা বলেন লবনাক্ততার থেকে রক্ষা পেতে এ পদ্ধতি কার্যকর।

বস্তা পদ্ধতির সবজি চাষ বিষয়ে নকশীকাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী বলেন, শ্যামনগর উপজেলায় সকল ইউনিয়নে কম বেশি লবন পানিতে চিংড়ী চাষ হয়ে থাকে। লবনাক্ততার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ ভূমিকা রাখবে বলে নির্ধারিত কৃষকদের নকশীকাঁথার অপসন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview