বয়স ২০ বছর, তবে এখনও শিশুদের মতোই মায়ের কোলে ঘুরে বেড়ায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বংকিরা গ্রামের হাসেম মোল্লার মেয়ে চম্পা খাতুন।
চম্পা খাতুনের বয়স বাড়লেও শরীরিক ও মানসিক কোন পরিবর্তন হয়নি। যে বয়সে পড়ালেখা বা জীবন সাজানোর স্বপ্ন দেখার কথা, সেই বয়সেও মানুষের কোলে চেপে বসে থাকে চম্পা। হাসি আর কান্না ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না সে।
বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধি হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতরে তার নাম নিবন্ধিত (নিবন্ধন নং ১৯৯৯৪৪১১৯৮৯৯৮৯৭৯০-১১) হলেও এখনো ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড এবং অন্যান্য কোন সুযোগ-সুবিধা।
চম্পার মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধি। আচরণ করে একদম শিশুর মতো। কোনো কথা বলতে পারে না সে। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। সারাক্ষণ মানুষের কোলে থেকেই তার দিন কাটে যায়।
বড় বোন ময়না খাতুন জানান, ২০ বছর বয়স হলেও চম্পা এখনো শিশুর মতোই রয়ে গেছে। বাবা হাসেম মোল্লার চিকিৎসা করানোর মতো কোন সামর্থ নেই। তাই তারা চম্পার জন্য একটি প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড করার চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সমাজসেবা থেকে ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধি হিসেবে চম্পার নাম নিবন্ধিত হলেও সেখানে মোছা. চম্পার খাতুনের স্থলে ভুলক্রমে মো. চাকমা খাতুন লেখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নাম সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০ বছর বয়সেও চম্পা খাতুনের শিশুর মতো থাকার বিষয়ে মাগুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অলোক কুমার সাহা বলেন, পরীক্ষা করলে চম্পা খাতুনের প্রতিবন্ধি হয়ে থাকার কারণ ইস্পষ্টভাবে জানা যাবে।