বর্তমানে আত্মরক্ষার্থে মেয়েরা শিখছেন মার্শাল আর্ট। মার্শাল আর্টের সব কৌশলের প্রতিই মেয়েদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। সামাজিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণেই আত্মরক্ষার্থে মেয়েরা জুডো ও তায়াকোয়ানডো (কারাতের উন্নত রূপ) শিখছেন। কোরিয়ার এ আত্মরক্ষামূলক কৌশল এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহে বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে আত্মরক্ষামূলক কলাকৌশলের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মেয়েরা।
ইয়াংড্রাগ মার্শাল আর্ট সেনসর দি ফাইটার স্কুল ঝিনাইদহের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রশিক্ষক চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ (রুবেল) ব্লাকবেল্ট স্থানীয় প্রশিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম। ব্লাকবেল্ট সপ্তাহে তিন দিন প্রশিক্ষন দেন। সোম, বুধ ও শুক্রবার বিকালে বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে ব্লাকবেল্ট প্রশিক্ষক দিচ্ছেন।
ব্লাকবেল্ট স্থানীয় প্রশিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে জানান, ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠিয়ে অভিভাবক চিন্তায় থাকে, যার কার এখন আত্মরক্ষার জন্য আত্মরক্ষা মূলক কলাকৌশল শিখছে মেয়েরা। এতে শরীর সুস্থ থাকবে, দেহ ও মন সতেজ থাকবে। খারাপ কাজ থেকে মেয়েরা বিরত থাকবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, মার্শাল আর্ট তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। রুখতে শিখিয়েছে ইভটিজিং।
ধানমন্ডির জাতীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের তায়াকোয়ানডোর প্রশিক্ষক সুস্মিতা ইসলাম জানান, তার কাছে তায়াকোয়ানডো শেখেন ১০০ জন, তার মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ৮০। জাতীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সপ্তাহের সাত দিনই ক্লাস হয়। প্রতিদিন ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। দেড় থেকে ২ বছর এ প্রশিক্ষণ নিতে হয়। তবে এর চেয়ে বেশি সময়ও অনেকে নিয়ে থাকেন।
সুস্মিতা জানান, সমাজে সহিংসতা, ইভটিজিং যত বাড়ছে মেয়েদের মধ্যে আত্মরক্ষার জন্য মাশাল আর্টের প্রতি ঝোঁকও বাড়ছে। প্রশিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ তায়াকোয়ানডো ফেডারেশন দেশের ৪৫টি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই লাখ ছাত্রছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বাংলাদেশ তায়াকোয়ানডো ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে মেয়েরা বিদেশেও সাফল্য অর্জন করেছেন।