Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খাশোগি হত্যাকাণ্ড: তদন্তে যা পেল জাতিসংঘ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:০০ PM
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:০৪ PM

bdmorning Image Preview


জাতিসংঘের তদন্ত কমিটির সদস্যগণ সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের দ্বারা সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে। জাতিসংঘের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তুরস্কের তদন্ত করার উদ্যোগে সৌদি আরব বাধা দেয়ার সমস্ত ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত বছরের ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন।

তখন প্রথমে সৌদি আরব ঘটানাটিই অস্বীকার করেছিল। কিন্তু যখন তুরস্কের কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানে রোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসে, তখন বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক তোলপাড় ।

তুরস্কের সেই অনুসন্ধানে সৌদি আরবের বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা ছিল দৃশ্যমান। এই বাধা সৃষ্টির বিষয়কে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে জাতিসসংঘের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে।

তাতে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক মি: খাসোগিকে হত্যার ঘটনার যখন ১৩ দিন হয়, তখনও তুরস্কের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়নি। আর এভাবেই বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল সৌদি আরবের পক্ষ থেকে।

জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সৌদি আরব তুরস্কের তদন্ত করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হত্যার ঘটনার পর ১৩ দিন পর্যন্ত তদন্তকারীদের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে যে দেয়নি, সেকারণে প্রথমদিকে তদন্তের মাঝে কিছু সমস্যা হযেছে।এরপরও তুরস্ক সাংবাদিক খাসোগজিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনার তথ্য উদঘাটন করেছিল।

সেই প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব হত্যার ঘটনা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরব ১১জনকে বিচারের মুখোমুখি করেছে এবং তাদের পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হচ্ছে।

সৌদি কর্মকর্তারা বলে আসছেন, সৌদি আরবের একটি দুর্বৃত্ত দলের হাতে এই সাংবাদিক খুণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু বরাবর ঘটনার সাথে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

জাতিসঙ্ঘের তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সৌদি কর্মকর্তারা আগে পরিকল্পনা করে সাংবাদিক মি: খাশোগিকে নিষ্ঠুর এবং নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। প্রাথমিকভাবে এমন প্রমাণাদিও পাওয়া গেছে।’

এই তদন্ত কমিটির প্রধান অ্যাগনেস ক্লামারড তদন্তের জন্য গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তুরস্ক সফর করেছেন। মিজ ক্লামারড তদন্তে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বাধা সৃষ্টির প্রচেষ্টার সমালোচনা করেছেন।

একইসাথে সৌদি আরবে ১১ জনকে বিচারের মুখোমুখি করার যে কথা বলা হচ্ছে, সেই বিচারের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মিজ ক্লামারড। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মি: খাশোগির লাশের হদিস এখনো মেলেনি।

আগামী জুন মাসে চূড়ান্তভাবে জাতিসংঘের এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

Bootstrap Image Preview