একুশে পদক ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাল উল্লেখে যে ভুল হয়েছে তা এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে যারা একুশে পদক পাচ্ছেন তাদের নাম ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ‘৬ ফেব্রয়ারি ২০১৮’। স্মারক নম্বরেও রয়েছে এই একই সালের উল্লেখ। তবে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে- ‘একুশে পদক ২০১৯ প্রদান’।
ত্রুটিপূর্ণ এই চিঠির নিচে স্বাক্ষর করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী। নিজের স্বাক্ষরে তিনি আবার ‘০৬/২/১৯’ তারিখ লিখেছেন।
'একুশে পদক' রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে পরিচিত। সেই পদক ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন গুরুতর ভুল এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এতোগুলো চোখ, দৃষ্টি, তারপরও ২০১৮ সালের চিঠি ২০১৯-এ এসে স্বাক্ষর করলেন যুগ্মসচিব?অনেকে আবার বিষয়টিকে যুগ্মসচিবের অবহেলা বলেও মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে পদক তুলে দেবেন। এ বছর ভাষা আন্দোলনে পদক পাচ্ছেন- অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু এবং অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম। শিল্পকলায় পাচ্ছেন- সুবীর নন্দী (সংগীত), মরহুম আজম খান (সংগীত), খায়রুল আনাম শাকিল (সংগীত), লাকী ইনাম (অভিনয়), সুবর্ণা মুস্তাফা (অভিনয়), লিয়াকত আলী লাকী (অভিনয়), সাইদা খানম (আলোকচিত্র) এবং জামাল উদ্দিন আহমেদ (চারুকলা)।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে পদক পাচ্ছেন- ক্ষিতীন্দ্র চন্দ বৈশ্য, গবেষণায় ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড. মাহবুবুল হক, শিক্ষায় ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া।
এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে পদক পাচ্ছেন- রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের এবং হরিশংকর জলদাস।