‘আমরা ভোরবেলা পান্তা ভাত, নারকেল কোড়া আর শুকনা মরিচ দিয়ে খেয়ে সারাদিন রিলিফের ওয়ার্ক করতাম। তখন কামাল হোসেন সাহেব আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তিনি তখন তওবা কাটছিলেন, আমার সঙ্গে আর বের হবেন না বলে।’ এই বলে ড. কামাল হোসেনের গোপন তওবা ফাঁস করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৮৫ সালে প্রলয়ঙ্কারী জলোচ্ছ্বাসের পর ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার স্মৃতি রোমন্থন করে ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপকূলীয় জেলা সন্দ্বীপের মানুষদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু সন্দ্বীপ বহুবার গেছি। ৯১ সালে ঘুর্ণিঝড় তখন আমি গেলাম, ১৯৮৫ সালে গেলাম। সে সময় ঘূর্ণিঝড়ে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সারা সন্দ্বীপ একেবারে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে। কিচ্ছু পাওয়া যেতো না। লবণাক্ত পানিতে সব শেষ। কিচ্ছু নাই। পুকুরের পানি লবণাক্ত। খুবই কষ্ট ছিল। ভোরবেলা পান্তা ভাত, নারকেল কোড়া আর শুকনা মরিচ দিয়ে খেয়ে সারাদিন আমরা রিলিফের ওয়ার্ক করতাম। আমার এই রেসিপিটা সবাই মনে রাখেন এটা কিন্তু খেতে ভালো লাগে। পান্তা ভাত নারকেল কোড়া আর শুকনা মরিচ পোড়া, খুব মজা খেতে।’
সেই সন্দ্বীপ যেন আলোকিত হয়, উন্নত হয়, সেইদিকে লক্ষ রেখেই কাজ করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডের আওতায় সন্দ্বীপ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দিকটি তুলে ধরে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এবার বিদ্যুৎ চলে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে অনেক উন্নতি হবে। তার জন্য যা যা করণীয়, আমরা করে দেবো। ছাত্রছাত্রীদের আর চিন্তা করতে হবে না পড়াশোনায়।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতাকে সেখানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে সন্দ্বীপ সফরের আমন্ত্রণ জানান।