Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লালমনিরহাটে এক রাতে ১৭টি বাড়িতে চুরি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৩১ PM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৩১ PM

bdmorning Image Preview


লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বেড়েছে চোরের উপদ্রুপ। এদিকে একই রাতে পুরো গ্রামের ১৭টি বাড়ির সিধ কেটে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের মসুরদৌলজোর গ্রামে এ দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, মসুর দৌলজোর গ্রামের নরেন্দ্র নাথ, এন্তাজ আলী, নরেন চন্দ্র, লক্ষ্ণী চন্দ্র, জিতীন্দ্র নাথ, নারায়ন চন্দ্র, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মান্নান, কমলেশ্বর, স্বপন মিয়া, নরেশ চন্দ্র, হরেন্দ্র নাথ, পরেশ চন্দ্র, নরেন চন্দ্রসহ ১৭জনের বাড়িতে চুরি হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মসুর দৌলজোর গ্রামের লোকজন যে যার মত রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সংঘবদ্ধ চোর চক্র ওই গ্রামের ১৭টি বাড়ির সিধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা পয়সা, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়ে যায়।

ওই গ্রামের ব্যবসায়ী নরেন্দ্র নাথ বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার ঘরে সিধ কেটে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে চোর চক্রটি। তার আত্মচিৎকারে গ্রামের লোকজন একে একে জেগে উঠে জানতে পারেন সবার ঘরে সিধ কেটে নগদ টাকা পয়সা, দামি পোশাক ও মূল্যবান কাগজপত্র নিয়েছে চোর চক্র। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ওই গ্রামের প্রবাসী পরিবার এন্তাজ আলীর। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৫৬ হাজার নগদ টাকা নিয়েছে চোর চক্রটি। সব মিলে চোর চক্রটি ওই গ্রাম থেকে প্রায় তিন লক্ষাধিক নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গ্রামবাসীর দাবি।

এক রাতে একই কৌশলে পুরো গ্রামে চুরির ঘটনায় বেশ আতংক বিরাজ করছে গ্রামবাসীর মাঝে। ক্ষতিগ্রস্থদের অনেকেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি এবং ব্যবসায়ী। তাদের ব্যবসার মূলধন হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চিন্তিত অনেকেই।

ওই গ্রামের মিলন চন্দ্র জানান, কোন বাড়ির বেড়া ভাঙ্গেনি। প্রতিটি বাড়ির সিধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা পয়সা, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়েছে। একই সঙ্গে ১৭টি বাড়ির চুরিতে গ্রামবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গত বছরেও এ গ্রামে এক রাতে ১৩টি বাড়ি চুরি হয়েছিল। যার এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি।

ওই গ্রামের ইউপি সদস্য ছামিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এমন দুধর্ষ চুরি তিনি কখনই দেখেন। গ্রামের ১৭টি বাড়িতে একই সঙ্গে সিধ কেটেছে। সবার কাছ থেকে টাকা না পেলেও অনেকের নগদ টাকা নিয়েছে।

১৭টি বাড়িতে সিধ কাটলো কেউ বুঝতে না পারার অর্থ গ্রামবাসীকে কোন কৌশলে চোরচক্র অচেতন করতে পারে বলেও মন্তব্য করে আদিতমারী থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, চুরির বিষয়টি তার জানা নেই। তবে দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview