Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তালায় প্রতারক কর্তৃক আশ্রয়দাতার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ

এসএম বাচ্চু, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৬ PM
আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


সাতক্ষীরার তালায় আশ্রিত ব্যক্তি কর্তৃক আশ্রয়দাতার জমি প্রতাণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার পেতে ভুক্তভোগী সুব্রত ওরফে মধু বসু পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

মধু বসু জানান, উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের নলতা বসু পাড়ার নলতা মৌজার ৪৭ শতক সম্পত্তি (ভিপি হিসেবে রেকর্ডভূক্ত) পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তার পরিবার ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলার নাংলা গ্রামের মৃত অনন্ত্য ব্যানার্জীর ছেলে প্রতারক স্বপন ব্যানার্জী আশ্রিত পিতার দখল সূত্রে দাবি করে ওই জমি অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে। 

বিষয়টি জানতে পেরে জমির মালিক সুব্রত বসু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ তালা থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার চান। কিন্তু প্রতারক স্বপন ব্যনার্জী ইউপি চেয়ারম্যান এবং তালা থানা পুলিশকে অবজ্ঞা করে সালিশে হাজির হয়নি। বরং এলাকার কুচক্রীদের সহায়তায় প্রভাব বিস্তার করে ওই জমি হাতানোর চেষ্টা চালাতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সুব্রত বসুর আহবানে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রান্তিক নলতা স্কুল মাঠে এক সালিশী বৈঠকে এ সমস্যার সুরাহা করা হয়।

সুব্রুত ওরফে মধু বসু জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ওই জমি বিধি মোতাবেক আমি দখলীয় আছি। এছাড়া ভুলবশত উক্ত জমি ভিপি হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হওয়ায় আমি তা সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করি, যা বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভুলবশত ভিপি হিসেবে রেকর্ড হওয়া আমাদের উক্ত জমি প্রতারক স্বপন ব্যানার্জী নিজের জমি দাবি করে স্থানীয় মালেক শেখ এর কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে সালিশী বৈঠকের যথাযথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মালেক গং উক্ত জমির দাবি ছেড়ে দেন।

ভুক্তভোগী সুব্রত বসু অভিযোগ করে বলেন, সালিশী সভার মাধ্যমে সব সমস্যা মিটে গেলেও একটি মহল তাদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে এখন বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া প্রতারক স্বপন ও মালেক গংকে ব্যবহার কারে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, দুইপক্ষকে ডেকে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি, যাতে কোন দাঙ্গা না হয়। এটি এনিমি সম্পত্তি যা মধু বসুর স্বর্গীয় পিতা কৃষ্ণপদ বসুর দয়ায় কুড়ে ঘর বেধে আশ্রয় নিয়েছিল অনন্ত্য নামের এক ঠাকুর। অনন্ত্যর মৃত্যুর অনেক পরে এসে তারই পুত্র স্বপন কিছু কুচক্রী ব্যক্তির ইন্ধনে ঐ জমি বিক্রির পায়তারা করছে, যা আইনগতভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ।

 

 

Bootstrap Image Preview