Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুয়ার সব সময় খোলা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:২৯ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুয়ার সব সময় খোলা আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা আছে ওবায়দুল কাদেরের এমন এক বক্তব্যের ব্যখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার দরজা কারো জন্য কখনো বন্ধ ছিল না, শেখ হাসিনার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। কেউ কোন বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তার কাছে নিয়মমাফিক ভাবে আলোচনা করতে চান, আলাপ করতে চান আমাদের নেত্রীর দুয়ার খোলা আছে আমি এটা বলেছি।"

গণভবনে চা চক্রের নামে তামাশা হয়েছে বিএনপির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, "বিএনপি আসলে নেতিবাচক রাজনীতিতে গভীর খাদের কিনারায় চলে এসেছে। তাদের এখন খাদে পড়ার আর বেশি বাকি নাই। এ অবস্থায় তারা বেসামাল হয়ে, বেপরোয়া হয়ে যখন যা খুশি তাই বলছে। এখানে কোন যুক্তি নেই, এখানে কোন বাস্তবতা নেই। কারণ এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে এই মুহূর্তে কোন প্রশ্ন নেই। "দুনিয়ার সব সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ গুলো এই নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সরকারের সঙ্গে একসাথে কাজ করার কথা স্বয়ং জাতিসংঘ থেকেও উচ্চারিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোথাও কোন প্রশ্ন নেই, কোথাও কোন বিতর্ক নেই এবং দেশ ও জনগণের মাঝে কোন প্রকার বিরূপ সমালোচনা নেই। একমাত্র বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই আজকে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। "কাজেই তারা কে কি বলল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কারণ এটা ব্যর্থ বিএনপির অসংলগ্ন প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।"

এক দাবিতে বিএনপি আন্দোলনের হুমকীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কাদের বলেন, "বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি লিগাল বিষয়। লিগেল ব্যাটেল করে তারা যদি তাদের নেত্রীকে মুক্ত করে তাহলে তাদেরকে স্বাগতম। এটা আইনের বিষয়ে আইনগত ভাবে সমাধান হবে এখন আন্দোলন করে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়াকে মুক্ত করবে, এটা এখন আর দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না। কারণ তাদের আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন গর্জনেই সার। এর কোন আবেদন নেই।"

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে স্পষ্টভাবে বলা আছে উপজেলার বর্ধিত সভার মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদটি মনোনয়ন দিতে হবে কিন্তু অনেক জায়গা অভিযোগ আসছে এমপি তাদের প্রভাব খাটিয়ে একক নাম পাঠাচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, "সে রকম অভিযোগ আসতে পারে। এখন এককভাবে নিয়ম ভঙ্গ করে যদি কোনো নাম বা তালিকা আসে সেজন্য তো আমাদের মনোনয়ন বোর্ড আছে। কেউ কোন অনিয়ম করলো কিনা সেটা দেখার জন্য আমাদের এই বোর্ড। তৃণমূলের নাম গুলো সঠিক ভাবে আসছে কিনা সেটা দেখার জন্যই তো আমাদের এই মনোনয়ন বোর্ড। "সঠিকভাবে নাম না আসলে সঠিকভাবে কি করতে হবে সেখানে সার্ভে রিপোর্ট ও আছে সব মিলিয়ে আমরা মমনোনয়ন দিবো। শুধুমাত্র তৃণমূলের রিপোর্টের উপর আমরা ভিত্তি করব না, কারণ তৃণমূলের রিপোর্টে যদি কোনরকম ম্যানিপুলেশন হয় সে অবস্থায় সার্ভে রিপোর্ট আমাদের কাজে দিবে।"

কিন্তু যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যাদের নাম তৃণমূল থেকে আসবে শুধুমাত্র তাদের কাছে ফরম বিক্রি করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, "আমরা মনোনয়ন দেব কাকে সেটা মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে। কিন্তু ফরম বিক্রির ব্যাপারে আমরা যদি মনে করি কাউকে দেওয়া উচিত ফরম বিক্রি করা দরকার অনেক জায়গা ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান অনেকেরই নাম নেই অনেকে হয়তো বা অভিযোগ করেছে আমার নামটি অন্যায় ভাবে পাঠায়নি, এই ধরনের অবস্থায় ফরম বিক্রি করতে তো কোনো অসুবিধা নেই ফরম আমরা দিয়ে দিব। এরপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে মনোনয়ন কাকে দেবে।"

অনেক এমপি এবং মন্ত্রী এবং শীর্ষ নেতারা তাদের নিজ এলাকার প্রার্থীর নাম এককভাবে পাঠাচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, "শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে যে মনোনয়ন বোর্ড বসবে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে যাচাই-বাছাই করে জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই আমরা সিলেক্ট করব।"

বিএনপি বলছে জাতীয় নির্বাচনে যেমন ভোট ডাকাতি হয়েছে ডাকসু নির্বাচনেও ভোট ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, "নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যাচ্ছে এটা তো তাদের পুরনো অভ্যাস। এটা তাদের স্বভাব সুলভ বক্তব্য। যে কোন নির্বাচনে ফলাফল ভোট গণনা পর্যন্ত তারা অভিযোগ আনে কারচুপির হচ্ছে ডাকাতি হচ্ছে। "চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা একই অভিযোগ এনেছিল তারা রাত দশটা পর্যন্ত এমন কারচুপির অভিযোগ এনেছিল কিন্তু পরে দেখা গেল তাদের প্রার্থী জিতল। শুধু সেটা নয় পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কারা জিতল কিন্তু ভোট গণনা কাল তারা বলেছে কারচুপি হয়েছে দখল হয়েছে জালিয়াতি হয়েছে। এটা বিএনপি'র পুরনো অভ্যাস নালিশের রাজনীতি তাদের নতুন নয়।

Bootstrap Image Preview