তালায় ৩ হাজার ৩শ' টাকা স্কুলে জমা দিয়েও এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উপজেলার গোনালী নলতা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের পুত্র অর্জুন বিশ্বাস নামক একজন পরীক্ষার্থি।
জানা যায়, অর্জুন বিশ্বাস উপজেলার হরিশচন্দ্রকার্টি এইচএনজি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সে ১৮ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অসুস্থতার কারনে ৭ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। পরে ১৯ সালে সকল বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলে ৩৩শ' টাকা জমা দেন। যা সরকারি নিয়মের বাহিরে। তার পরেও ১৯ পরীক্ষার অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র আসেনি।
স্কুলের শিক্ষক ফরিদ হোসেন জানান, আমাদের স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন আছে। নবম ও দশম শ্রেণির জন্য আমরা তেতুলিয়ার শতদল স্কুল থেকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করি। অর্জুনেও জন্য শতদল স্কুলের কিরানী হাফিজুরের কাছে টাকা জমা দিয়েছিলাম। কেন তার প্রবেশ পত্র আসেনি সেটা বলতে পারবো না। তবে আমরা অর্জুনের বাবা ও মায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে এসেছি।
অর্জুনের বাবা-মা জানান, স্যার এসে এ্যাডমিট কার্ড না আসায় আমাদের কাছে মাফ চেয়েছে কিন্তু আমার ছেলের তো ১ বছর নষ্ট হলো। ছেলেটা সাগরে মাছের কাজ করে টাকাটা জমা দিয়েছিল। কষ্টের টাকাটা বৃথা গেল।
তিনি আরও বলেন, স্যার বলে গেছেন এই বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমরা বলবো সে (অর্জুন) টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করেছি তাই আমরা নাম পাঠাইনি।
পরীক্ষার্থী অর্জুন জানান, আমি অনেক কষ্ট করে টাকাটা জমা দিয়েছিলাম তার সত্বে আমাকে কেন এ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হলো না। আমি টাকা ফেৎর চাই না পরীক্ষা দিতে চাই। আমি স্যারদের বলে ছিলাম সকল বিষয়ে পরীক্ষা দেব। যদি না বলে থাকি স্যাররা কেন আমরা কাছ থেকে কেন ৩৩ শত টাকা নিল।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালী পদ ঘোষ জানান, অর্জুন নামক ছেলেটি আমাদের কাছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য টাকা জমা দিয়ে ছিল আমরা টাকাটা পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু সে গত পরীক্ষায় ৭ বিষয়ে ফেল করার কারনে এবার তাকে সকল বিষয় পরীক্ষা দিতে হবে। সে সকল বিষয়ে পরীক্ষা দেবে এটা সে বলেনি তাই প্রবেশ পত্র আসেনি।
তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের আতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছে এই বিষয়ে নিয়ে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।