রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র সামির উদ্দীন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় জমিতে কাজ করতে গিয়ে ট্রাক্টরের চাকার নিচে পড়ে বাম পা হারায় । কৃষক বাবার পক্ষে তৎকালীন সময়েও পা সংযোজন করার অর্থ না থাকলেও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়।
এরপর অন্যের বাড়িতে কাজ ও টিউশনি করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছেছেন তিনি। প্রতি তিন বছর পরপর তার লাগানো কৃত্রিম পায়ের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে এক পায়েই চলছেন সামির।
গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের কাছে গেলে তাকে দ্রুত নতুন কৃত্রিম পা সংযোজনের জন্য বলেন। নতুন এই পা সংযোজন করতে খরচ হবে প্রায় এক লাখ টাকা। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগার করা সম্ভব না।
সামির বলেন, বাবা টাকা দিতে পারতো না বলে অন্যের জমিতে কাজ করতাম। দুর্ঘটনার পর থেকে বিভিন্নজনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত এসেছি। বর্তমানে যেই কৃত্রিম পা আছে সেটির কর্মক্ষমতা নেই। খুব কষ্ট হচ্ছে চলতে। ডাক্তার দ্রুত নতুন পা লাগাতে বলেছেন।
তিনি বলেন, তাকে নিয়ে বেশ কিছু মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর এ পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন। আরও ৯৫ হাজার টাকা প্রয়োজন।
সামির ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভোরনিয়া দিহট গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের ছেলে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান বলেন, সামিরের বিষয়টি বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় তোলা হবে। এরপর যতটুকু সম্ভব আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।
সামির রাজশাহীর সেন্টার ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অব দি প্যারালাইজডের এস এম ইমরান শোয়েবের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সামিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৭৩৮৪৭৭৮১ নম্বরে।