Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাকার ১৩টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে কে, এখনও জানে না বিএনপি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৭ PM
আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগত কৌশল হিসেবে অনেক আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। এ নিয়ে অনেক আসনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এমনকি বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় এবং পল্টন কার্যালয় বন্ধও করে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। তবে সংসদ নির্বাচনের এক মাসের মাথায় নতুন এক তথ্য সামনে এসেছে।

জানা যায়, নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়ে কিছুই জানতো না বিএনপির স্থায়ী কমিটি। কে বা কারা ১৩ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করলো, কেন করলো তাও জানে না দলটির সিনিয়র নেতারা।

এর কারণ খুঁজে বের করতে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে মনোনয়নের এ বিষয়ে আলোচনা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। ‘কঠোর গোপনীয়তা’র সঙ্গে পুরো বিষয়টিকে পর্যালোচনা করা হয় ।

স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ঢাকার ১৩টি আসনের মনোনয়ন ছাড়াও সারাদেশের প্রার্থীদেরকে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নেতাকর্মীদের মামলা দেখভাল, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা এবং নিয়মিত যোগাযোগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য শুধু বলেন, ঢাকার এ ১৩ আসনে কে মনোনয়ন দিলো, কোত্থেকে দিলো, চিন্তাই করতে পারছি না। আমরা কিছুই বের করতে পারি নাই। রহস্য তো আছেই। এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।

দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘মনোনয়নের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে নির্বাচনের আগে বিএনপিকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ‘গুজব’ বলে এড়িয়ে দেন। মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও কোনও জবাব দেননি।

জানা যায়, ঢাকার মনোনয়নের সময় স্থায়ী কমিটির অন্যতম কয়েকজন সদস্য তখন নিজের নির্বাচনী এলাকায় চলে যান। এ বিষয়টিকে না জানার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন দলটির অনেক নেতাই।

বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন, দলের শীর্ষ দু'জন নেতার অনুপস্থিতিতে দলের মধ্যে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দূর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। প্রায় দশ বছর ধরে দেশের বাইরে রয়েছেন দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান।

Bootstrap Image Preview