আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যদি সংসদ বর্জন করে তাহলে তারা আরও বড় ভুল করবে। দেশের মত বিদেশের বন্ধুদের থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে দলটি।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির কারণে খাদের কিনা রায় চলে এসেছে। তারা (বিএনপি) যদি তাদের চিরাচরিত নেতিবাচক রাজনীতির ধারা আক্রে ধরে তাহলে তারা অন্ধকারে খাতে নিপতিত হবে।
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে চা চক্রের আয়োজন করেছেন বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট সেখানে খোলামেলা আলাপ করতে পারেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আহবান বর্জন করেছেন এটা তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা।
মানুষ আন্দোলনের আগ্রহী নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ বছরে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপি জনগণের সাড়া জাগানোর মত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি আন্দোলনের বিরাজ করছে না। যে অবজেক্টিভ কন্ডিশন তাদেরকে আন্দোলনে সাফল্য এনে দিতে পারে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, জনগণ যদি রেসপন্স না করে সাফল্য আসবে না।
কাদের বলেন, বিএনপি- ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন সদস্য সংসদে গিয়ে জোড়ালো ভাষায় কথা বলে সংসদের ভিতরে যুক্তি তর্ক দিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে। এই নির্বাচনের পর বিশ্ব উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্যে তাদের চিঠি দিয়ে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে। বিএনপি যদি এ অবস্থাতেও সংসদ বর্জনের সাংস্কৃতিক আক্রে ধরে তাহলে তারা আরও বড় ভুল করবে। বিদেশেও তাদের বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিদেশে তাদের বন্ধু বলে কেউ থাকবে না।
এসময় ডাকসু নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা বলেন, অতীতে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ছিল হলগুলোতে। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।