Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রতিবন্ধী তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিল আটক শুক্কু ও টিক্কা রাকিব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:০১ PM
আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:০১ PM

bdmorning Image Preview


নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার ভোলাইল এলাকায় অজ্ঞাত ২২ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন শুক্কুর আলী ও টিক্কা রাকিব নামের আরও দুই যুবক। গত বুধবার আদালতে দোষ স্বীকার করে তারা জবানবন্দি দেন। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িতে থাকলেও টিক্কা রাকিব তরুণীকে ধর্ষণ করেননি বলে দাবি করেন।

এর আগে মঙ্গলবার আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন শুক্কুর ও টিক্কার সহযোগী জুয়েল। বুধবার জবানবন্দি নেওয়ার পর শুক্কুর আলী ও টিক্কা রাকিবকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা জানান, শুক্কুর আলী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তার অটোরিকশায় করে তরুণীকে তুলে নেওয়া হয়। জবানবন্দিতে তারা বলেন, তরুণী মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। অপহরণের সময় তার শরীরে প্রচ- জ্বর ছিল।

শুক্কুর আলী জানান, গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় শহরের কলেজ রোডে ঘুরতে দেখেন ওই তরুণীকে। এ সময় কৌশলে তাকে অটোরিকশায় উঠিয়ে কাশিপুরের ভোলাইল এলাকায় নিয়ে যান তিনি। সেখানে গায়ে হাত দিয়ে দেখেন তার শরীরে প্রচ- জ্বর। মুখ দিয়ে লালা পড়ছিল। এ অবস্থায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সহযোগীদের নিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। তারা এক-দুজন নন, ৮ জন মাঠে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এই তরুণীকে।

টিক্কা রাকিব জবানবন্দিতে জানান, তিনি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় শুক্কুর এসে তাকে বলে, এখানে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, সে কোথায়? তখন টিক্কা রাকিব বলে, জুয়েল, অনিক, আবু তালেব, তৌফিক, সাগর ও রাসেল মাঠের দিকে নিয়ে গেছে। এর পর শুক্কুরের সঙ্গে টিক্কা রাকিবও মাঠে যান। গিয়ে দেখেন তারা পর্যায়ক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপতে থাকা ওই তরুণীকে পরে শুক্কুরও ধর্ষণ করে। সব শেষে টিক্কা রাকিবকে ধর্ষণ করতে বলেন শুক্কুর। টিক্কা রাকিব জানান, ওই সময় মেয়েটি হাত-পা এদিক ওদিক ছুড়ছিল-এমন অবস্থা দেখে তিনি ধর্ষণ করেননি।

এ অবস্থা দেখে জুয়েল বলে, একে বাঁচিয়ে রাখলে সমস্যা হবে। এর পর জুয়েলের কথামতো শুক্কুর মেয়েটির গলা টিপে ধরেন। সাগর, রাসেল এবং আবু তালেব তার হাত ধরেন। টিক্কা রাকিব, অনিক এবং তৌহিদ চেপে ধরেন পা। এ পর্যায়ে শুক্কুর হত্যা করতে ব্যর্থ হলে জুয়েল মেয়েটির বুকে দুটি ঘুষি মেরে গলা টিপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি ফতুল্লার ভোলাইল এলাকায় পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময়ে তার পরনে ছিল সোয়েটার, চাদর ও পায়জামা।

Bootstrap Image Preview