মেয়ের বিয়েতে গ্রামের প্রভাবশালীদের দাওয়াত না দেওয়ায় ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া কোরবানপুর গ্রামে একটি পরিবারকে ৩ মাস ধরে পঞ্চায়েত থেকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অসহায় আব্দুস সালাম মেয়েকে বিয়ে দেওয়ায় সামার্থ্য না থাকায় শশুরবাড়ির সাহায্যে মেয়েকে বিয়ে দেন। আর সেই বিয়ের দাওয়াত গ্রামের প্রভাবশালীদের না দেওয়ায় ওই পরিবারকে পঞ্চায়েত থেকে একঘরে করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। পরিবারে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে বসবাস করি। গত অক্টোবর মাসে বড় মেয়েকে কুলাউড়া তার মামারা নিয়ে ওখানে বিয়ে দেন। যে কারণে আমি গ্রামের মানুষদের ঠিকমত দাওয়াত দেইনি।
বিয়ের কিছুদিন পর আচমকা আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার লাল মিয়া আমাকে জানান, মসজিদ কমিটির সভাপতি আখলাছ মিয়া ও সেক্রেটারি লকুছ মিয়া আমাকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে একঘরে করেছেন।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি লকুছ মিয়া প্রথমে একঘরে করার ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলেন, একা তো আমি একঘরে করিনি। পঞ্চায়েতের আরো লোকজন আছে।
একঘরে করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্দুস সালাম মেয়ের বিয়ে দিয়েছে কিন্তু আমাদের দাওয়াত দেয়নি।
এ ব্যাপারে ঘিলাছড়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান লেইস চৌধুরী বলেন, বিষয়টা এখন জানলাম, ইউপি মেম্বারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক জানান, আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।