গণফোরামের নির্বাচিতদের শপথ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, শপথের বিষয় এখন না, প্রেস কনফারেন্স করে পরে জানানো হবে।
বুধবার গণফোরামের ৫ম জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় ডা. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
‘সংসদ নিয়ে এখনই প্রশ্ন তুলতে চাই না। হালকাভাবে কিছু বলব না। সংসদে কী হচ্ছে না হচ্ছে খোঁজ-খবর রাখছি। এজেন্ডা নিয়ে পরে সংসদ বিষয়ে মন্তব্য করব’ বলেন ড. কামাল।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে যাবে বলা হচ্ছে- এ জোট থাকবে কি না? তিনি উত্তর দেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট ১০০ বার থাকবে।’
বিএনপির এক নেতা বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট থাকবে তবে আপনাকে সরে যেতে হবে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? ড. কামাল বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উত্তর দেব না, অন্য অনুষ্ঠানে দেব।
এদিকে রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ৫ম জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হননি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। এ ব্যাপারে দলটির নেতারা কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রস্তুতি সভা শুরু হয়েছে। সভায় সুলতান মনসুর না আসলেও দলটি থেকে নির্বাচিত আরেক এমপি মোকাব্বির খান এসেছেন। এছাড়াও উপস্থিত আছেন নির্বাচনে অংশ নেয়া রেজা কিবরিয়া,আবু সাঈদ,সুব্রত চৌধুরী।
গণফোরাম সূত্রে জানা যায়, সুলতান মনসুরকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি।
গত কয়েকদিন ধরেই গণমাধ্যমে নির্বাচিত এই দুই ব্যক্তি বলে আসছেন, তারা শপথের বিষয়ে ইতিবাচক। যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই বলে এসেছে, একাদশ জাতীয় সংসদে তাদের নির্বাচিতরা অংশ নেবেন না।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন,‘গণফোরামের সংসদে যোগ দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। গণফোরামসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনও সদস্যের শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে জয় পায়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ৮টি আসন। নির্বাচনের দিন রাতেই ভোট ডাকাতির ও ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন।