ঝিনাইদহে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে উপজেলা পরিষদের পুকুর ঘাটে ফেসবুকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা সোহেল রানা ও হৃদয় অধিকারী নামে দুই ছাত্রকে ধরে অভিভাবকের কাছে সোপর্দ করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদের পুকুর ঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় এবং মাথার বড় বড় চুল নরসুন্দর ডেকে কাটিয়ে ছোট করে দেয়া হয়।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ সদরের গোবিন্দপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে শিশুকুঞ্জ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহেল রানা ও হামদহ ঘোষপাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জন অধিকারীর ছেলে ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র হৃদয় অধিকারী ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে বুঁদ হয়ে ছিল। উপজেলা পরিষদের পুকুর ঘাট থেকে তাদের আটক করে অভিভাবক ও কলেজের অধ্যক্ষদের ডেকে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
অভিভাবকরা জানান,এই দুই ছাত্র তাদের কথা শোনে না। পরে নরসুন্দর ডেকে দুই ছাত্রের বড় বড় চুল কাটিয়ে ছোট করে দেয়া হয়।
সোহেল রানা ও হৃদয় অধিকারী আর কোনোদিন ক্লাস ফাঁকি দেবে না বলে মুচলেকা দেয় বলে জানান ইউএনও।