Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ রবিবার, মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধুনটে বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:২৬ PM
আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:২৬ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (ক্ষুদ্রসেচ) অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে  বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ৭০০ কৃষক বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমতি পাচ্ছে না। ফলে চলতি মৌসুমে প্রায় ২৪ হাজার বিঘা জমির বোরো ধান চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি, বিএডিসি'র উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে (ক্ষুদ্রসেচ) সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে অগভীর নলকূপ (সেচ যন্ত্র) স্থাপনের জন্য ৭০০ কৃষক উপজেলা সেচ কমিটির নিকট আবদেন করেছে।

গত ৯ জানুয়ারী উপজেলা সেচ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলেও বিএডিসি'র কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ৭০০ কৃষক সেচ যন্ত্র স্থাপনের অনুমোদন পাচ্ছে না। বিদ্যুৎ চালিত একটি অগভীর নলকূপের আওতায় প্রায় ৩৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব। 

আবেদনের প্রথম ধাপে কৃষককে বিএডিসি কর্মকর্তার নিকট থেকে ছাড়পত্র (লাইসেন্স) নিতে হয়। এক্ষেত্রে  ৮০০ ফুটের মধ্যে একাধিক ছাড়পত্র দেওয়ার বিধান নেই। কিন্ত একইস্থানে একাধিক কৃষককে ছাড়পত্র প্রদান করেছেন বিএডিসি কর্মকর্তা। এ কারণে উপজেলা সেচ কমিটি সেচ যন্ত্রের অনুমোদন প্রদান করতে পারছে না। 

এ বিষয়ে উপজেলার শ্যামগাতী গ্রামের কৃষক আহসান হাবিব বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তার ছাড়পত্র নিয়ে অগভীর নলকূপের বোরিং করে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছি। কিন্ত বিএডিসি কর্মকর্তা একই স্থানে নুরুন্নবী নামে আরো এক কৃষককে ছাড়পত্র দিয়েছে। এ কারণে নলকূপ স্থাপনের অনুমতি মিলছে না। এতে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে পারছি না।

একই গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তা আমাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর একই স্থানে সোহেল রানা নামে এক কৃষককেও ছাড়পত্র দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য ও ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) বিজয় চন্দ্র কুন্ডু বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তা একই স্থানে একাধিক কৃষককে ছাড়পত্র দেওয়ায় অগভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব ও বিএডিসির উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাসউদুল করিম রানা বলেন, জনবল সংকটের কারণে তদন্ত ছাড়াই দুই একজন কৃষকের নামে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। তবে এ সব ভুল সংশোধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রকৃত কৃষকের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। 

ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তার ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক ত্রুটি রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক কৃষক অভিযোগ করেছে। তাই কৃষকের আবেদন ও বিএডিসি কর্মকর্তার ছাড়পত্র যাচাই-বাছাই করে সেচ যন্ত্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হবে।




 

Bootstrap Image Preview