Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নবাবগঞ্জের ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও খড়ি

সৈয়দ রোকনুজ্জামান রোকন, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৪৮ PM
আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমি ও জনবসতি এলাকায় ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাটার নিবন্ধন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই। তারপরও বছরের পর বছর ধরে ইটভাটাগুলো চালু রয়েছে। ওইসব ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও খড়ি। এতে একদিকে যেমন রাস্তার দুই ধার বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়ছে অন্য দিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পরিবেশ দূষতি হচ্ছ।

কথিত ইটভাটা মালিক সমিতি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ইটভাটাগুলো চালু রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয় না এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

সম্প্রতি সরজমিনে ইটভাটাগুলো ঘুরে দেখা যায়, এই উপজেলার অধিকাংশই ইটভাটা কৃষিজমি ও জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাটাগুলোতে শত শত মণ কাঠ ও খড়ির স্তপ করে রেখে অবাধে কাঠ ও খড়ি পোড়ানো হচ্ছে।

ভাটাগুলো হচ্ছে উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউপির খলিশা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের এ.ও.এল নামক, রফিকুল ইসলামের আর.এ.আর  নামক, রতনের আর.এম.এ নামক, আমিনুল ইসলামের, পত্নীচান গ্রামের সিরাজুলের এম.এস.বি নামক , কাশিপুর আমতলার মোসলেম উদ্দিন এম.এস.বি নামক, মিঠাপুকুর গ্রামের মোস্তাফিজুরের ডব্লিউ.আর.এস নামক, দাউদপুর ইউপির হেয়াতপুর এলাকার আবু শাহাদৎ সায়েমেরর এস.আর.বি ব্রিক্স নামক ও বিনোদনগর ইউপির রামভাদ্রপুর এলাকার মিঠুর টি.এইচ.এন নামক ভাটা।

কাঠ ও খড়ি না পুড়তে ইউএনও'র নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন পুড়ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এ.ও.এল'র নামের ভাটা মালিক আনোয়ার বলেন, সবাই কাঠ ও খড়ি পুড়ছে। তাই আমিও পুড়ছি। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েই তার ভাটায় তিনি কাঠ ও খড়ি পুড়ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি আমাদের প্রতিনিধি বলেন, যে সকল ইটভাটায় কাঠ ও খড়ি পোড়ানো হচ্ছে নির্দিষ্ট করে সেগুলোর নাম দিন।

এসব ইটভাটা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় নির্দেশ দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়নি।

ইটভাটা সংলগ্ন বাড়ির মালিকরা জানান, ইটভাটার কারণে তাদের ফলদ গাছগুলো নষ্ট হয়েছে। মাঠের ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়টি তারা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল পাননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি  ইটভাটার মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশই ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র ও নিবন্ধন নেই। প্রতি বছর ইটভাটা চালুর পরপরই উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতিকে তাদের মোটা অঙ্কের চাঁদা দেন। ইটভাটা মালিক সমিতির কর্তা ব্যক্তিরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজনকে খুশি রাখেন।

Bootstrap Image Preview