বগুড়া সারিয়াকান্দির দুর্গম চরাঞ্চলে ক্যামিক্যাল মিশানো মহিষের দুধ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় খামারি ও মহিষের মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা দুর্গম এলাকার মানুষ। উপজেলা শহরের সাথে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই কষ্টকর। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় উৎপাদিত দুধ প্রতিদিন বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হয় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা লাজুক হওয়ায় এখানে প্রতিদিন দুধের পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা আসতে চায় না। ফলে সংসার ও গাভীদের খাদ্যের যোগান দিতে বাধ্য হয়ে অ-বিক্রিত দুধের সাথে এক প্রকার ঔষধ মেশানো হয়। আর এই ঔষধ মেশানো হলে দুধ বেশ কয়েকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তবে এই ঔষধ ক্যামিক্যাল কি না তা আমরা জানি না।
এদিকে ররিবার সকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে সারিয়াকান্দি উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কে এম আজিজুল কবির রিপন কর্নিবাড়ি ইউনিয়নের ডাকাতমারা চরে মহিষের দুধ পরীক্ষার জন্য দুধ সংগ্রহ করে জনস্বাস্থ্য গবেষণাগার, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট মহাখালি ঢাকায় পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব প্রাপ্ত স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কে.এম আজিজুল কবির রিপন জানান, চরাঞ্চলে হাজার হাজার মহিষের পাল থেকে প্রতিদিন শতশত লিটার দুধ পাওয়া যায়। তাতে ক্যামিক্যাল আছে কি না তা আমি জানি না। অভিযোগের ভিত্তিতে আমি চর থেকে দুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে আসলে এবং ক্যামিক্যালের প্রমাণ মিললে মহিষ মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।