হাঙ্গেরি নেওয়ার পরে প্রথম অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে জোড়া মাথার শিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার। অস্ত্রোপচারের পর তারা এখন ভালো আছে।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জোড়া মাথার শিশু রাবেয়া-রোকাইয়াকে ৫ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরিতে নেয়া হয়। ২৫ জানুয়ারি তাদের জোড়া মাথা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয়েছে। তাদের মাথায় টিস্যু ঢোকানো হয়েছে।
হাঙ্গেরিতে রাবেয়া-রোকাইয়ার অবস্থানের ব্যাপারে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সেখানে প্রচণ্ড শীত। তারা সারাক্ষণ ঘরের মধ্যেই থাকে। বাইরে বের হতে পারে না। তাদের জন্য হাঙেরির সরকার খুব করছে। সেখানকার ডাক্তার, সরকার সবাই মিলে তাদের খুব যত্ন নিচ্ছে। এটা আমাদের ধারণার বাইরে। তাদের প্লেন থেকে পুলিশ কর্ডন করে নিয়ে গেছে। বাসায় সবসময় একজন সিস্টার তাদের দায়িত্বে থাকেন। সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও তাদের খুব খেয়াল রাখছে। এমনকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাদের বাসায় দেখতে গেছেন।’
উল্লেখ্য, পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা আখতার দম্পতির ঘরে মাথা জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্ম নেয় যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকাইয়া। ২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে (সিজার) জন্ম হয় তাদের। পরে গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় এই দুই শিশুকে। এ বছরের ৫ জানুয়ারি তারা পুরো পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য হাঙেরিতে যান। বাংলাদেশে রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসার শুরুতে চিকিৎসক দলে হাঙেরির দুজন চিকিৎসক ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের হাঙেরিতে নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এই শিশুদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে হাঙেরিতে পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় হচ্ছে।