Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশ-চীন ‘ইকোনমিক করিডর’ নিয়ে চিন্তিত ভারত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫২ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


চীনের 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড' এমন একটি পরিকল্পনা যেটি বিশ্বের ৬০টি দেশের সঙ্গে চীনের মূল ভূখণ্ডকে সংযুক্ত করা। এ পরিকল্পনার অংশ মূলত দুটি সড়ক পথে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে সংযুক্ত হবে চীন। এই সড়ক পথের সঙ্গে রেলপথ ও তেলের পাইপলাইনও রয়েছে।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন দুটি 'ইকোনমিক করিডর' তৈরি করছে। একটি কুনমিং থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ। আর দ্বিতীয়টি- চীনের জিনজিয়াং থেকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের সমুদ্রবন্দর গাওদার পর্যন্ত রেল ও সড়কপথ। এই করিডরের ব্যাপারে ভারতের আপত্তি রয়েছে।

সেই সঙ্গে সমুদ্রপথেও, বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হবে চীন। বলা হয়ে থাকে প্রাচীন সিল্ক রুটের আধুনিক সংস্করণ এটি।

২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং এর ঢাকা সফরের সময় 'ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড' উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ যোগ দেয়।

২০১৩ সালে 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড' নামে একটি উন্নয়ন কৌশল ও কাঠামো উপস্থাপন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং।

ভারতের প্রথম আপত্তির কারণ হলো, চীন যে দুটি 'ইকোনমিক করিডর' পরিকল্পনা করেছে, তার একটি পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। একারণে ভারত কয়েক বছর আগেই এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের অর্থনীতিবিদ এবং কানেক্টিভিটি বিশেষজ্ঞ ড. প্রবীর দে বলেছেন, ভারত এই পরিকল্পনাকে কোনো গ্লোবাল বা আন্তর্জাতিক প্রকল্প হিসেবে দেখে না, বরং একে আঞ্চলিক পরিকল্পনার অংশ মনে করে। ফলে ভারতের উদ্বেগের কারণ ভিন্ন বলে তিনি মনে করেন।

'প্রথমত এটা যাবে কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে, যেটা নিয়ে ভারতের বহুদিনের বিরোধ আছে আরেক প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে। আর দ্বিতীয়ত, এটার অর্থায়ন মোটেও সলিড কোন খাত থেকে হচ্ছে না। বরং সেটা হবে ডেট ফাইন্যান্সিং এর মাধ্যমে, অর্থাৎ এটা আপনাকে ঋণের মধ্যে ফেলে দেবে।"

এছাড়া গত দশ বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে যে উন্নতি হয়েছে, এ প্রকল্পে যুক্ত হবার পর বাংলাদেশ চীনের প্রভাব বলয়ে ঢুকে যেতে পারে এমন একটি শংকাও রয়েছে ভারতের।

এদিকে চীন-ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য ৪৪টি কৌশলগত সড়ক তৈরি করতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি।

দেশটির সরকারের কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগের (সিপিডব্লিউডি) ২০১৮-১৯ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কটি অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে তৈরি হবে। সব মিলিয়ে এটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ভারতীয় ২১ হাজার ৪০ কোটি রুপি।

সড়কগুলোর বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদ কমিটির কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই সরকারি কর্মকর্তা জানান, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) ও সিপিডব্লিউডির মধ্যে নির্মাণ কাজটি বিভক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস।

Bootstrap Image Preview