Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মডেলিং করতে এসে যেভাবে আন্তর্জাতিক চোরাচালানে জড়ালেন মিমি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩৬ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩৬ PM

bdmorning Image Preview


'বায়িং হাউজে চাকরির নামে নিয়োগ দেয়া হত কথিত ‘স্মার্ট মেয়েদের’। নিয়োগের পর তাদের দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার ও ব্যবসার কাজ করানো হতো। কাজে পারদর্শি হলে পাঠানো হত বিদেশে।'

শ্রীলংকায় জব্দকৃত মাদকদ্রব্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল সোমবার বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকেই বেড়িয়ে আসে এমন তথ্য।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে একটি প্রেস ব্রিফিং করে র‌্যাব। আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গ্রেফতার হওয়া পাঁচ সদস্যের পরিচিতি তুলে ধরেন।

জানা যায়, এই দলের অন্যতম সদস্য আফসানা মিমি (২৩)। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এলাকার বাসিন্দা মিমি ২০১৫ সালে মিডিয়া জগতে কাজ করতে ঢাকা আসেন। তার বাবার নাম মো. আশরাফ উল্লাহ।

মুফতি মাহমুদ জানান, মিমি নাচ, গান এবং অভিনয়ে পারদর্শী হওয়ায় সহজেই বিভিন্ন ক্লাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। এই সূত্রেই তার পরিচয় হয় মাদক চোরাচালান চক্রের সদস্য ও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত রুহুল আমীন সায়মনের সঙ্গে। এর পর রুহুলের মাধ্যমেই তার পরিচয় হয় চোরাচালান চক্রের অন্য সদস্য রেহানা ও আরিফের সঙ্গে। পরবর্তীতে আরিফের সঙ্গে মিমির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার মাধ্যমেই ২০১৭ সালে মিমি আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর একই সালে তিনি অরিফের সঙ্গে মালয়েশিয়া যান। সেখান থেকে রেহানা ও মিমি মাদকের একটি চালান নিয়ে শ্রীলংকা যান।

মুফতি মাহমুদ খান আরও জানান, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে মিমি দ্বিতীয়বারের মতো শ্রীলংকায় গেলে আরিফ তার সঙ্গে পরিচয় করান চোরাচালান চক্রের অন্যতম সদস্য সূর্যমনির সঙ্গে। প্রায় ২৫ দিন শ্রীলংকায় অবস্থান করেন মিমি। সেখানে এ সময়গুলোতে সূর্যমনির নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা ফিরে আসেন তিনি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে পুনরায় শ্রীলংকা গিয়ে একটি বাসায় কিছুদিন অবস্থান করেন মিমি। সেখানে বিভিন্ন দেশে চালান করার মাদকগুলো তিনি নিজের কাছে মজুদ করে রাখতেন। পরে আবারও বাংলোদেশে ফেরত আসেন তিনি।

উক্ত ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন- ফাতেমা ইমাম তানিয়া (২৬), আফসানা মিমি (২৩), সালমা সুলতানা (২৬), শেখ মোহাম্মদ বাধন ওরফে পারভেজ (২৮), রুহুল আমিন ওরফে সায়মন (২৯)।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার হন তিন বাংলাদেশি। মিমিসহ ঢাকায় আটক এই চার সদস্য ওই চোরাচালান দলের সক্রিয় সদস্য।

Bootstrap Image Preview