Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহাসমুদ্রে কাকে খুঁজবো, কাকে ধরবো: দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৬ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:০২ PM

bdmorning Image Preview


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, এ মহাসমুদ্রে আমি কাকে ধরবো? কাকে খুঁজবো? তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদনকে স্বাগতম জানাচ্ছি।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, টিআইবিকে আমরা আগেও বলেছি, আপনারা কোন মেথোডোলজি ইউজ করেছেন, আমাদের জানান। নিশ্চয়ই তাদের কাছে অ্যানালিটিকস আছে। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার আছে। আমাদের কাছে এখনো প্রতিবেদনটা এসে পৌঁছায়নি। হাতে এলে আমরা তা দেখবো।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, গালভরা রিপোর্ট সবাই দিতে পারে। আপনাকে বলতে হবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতি করছে।

অর্থপাচার সম্পর্কে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এক বছরে দেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে পত্রিকায় একটি নিউজ হয়েছে, সেটি আমলে নিতে গিয়ে দেখতে পাই কে কীভাবে কোথায় টাকা পাচার করেছে, তার কোনো হদিস নেই। মহাসমুদ্রে কাকে খুঁজব? এ রকম রিপোর্টের কোনো আগামাথা নেই। মনগড়া বক্তব্য লিখলেই হবে না।

তিনি অভিযোগ করেন, কেউ কেউ বায়াস্ট হয়েও লেখে। কাউকে ধরতে গেলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, দুদক আইন অনুযায়ী আমরা সব জায়গায় অভিযান অব্যাহত রেখেছি। গত কিছু দিন আগে বিদেশে পলাতক লুৎফর রহমান বাদলের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করেছি। লন্ডনে বা বিদেশে বসে থাকলে তো কাউকে ধরতে পারব না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সব জায়গায় বিরাজ করছি। অনুসন্ধান করছি। এতে আমাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।

এর আগে সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি জানায়, ২০১৮ সালে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম।

অন্যদিকে ২৮ জানুয়ারি ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই তাদের গ্লোবাল রিপোর্টে জানায়, কেবল ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপর পাচার হয়েছে। গত ১০ বছরে (২০০৬ থেকে ২০১৫) বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৯ কোটি ডলার অর্থাৎ ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

Bootstrap Image Preview