রংপুর বিশেষ জজ আদালতের পিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী সিগ্ধা সরকারের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার আরেক আসমি কামরুল হাসান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রংপুর জেলার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধা আদালতে ছিলেন।
এর আগে মামলার প্রধান আসামি রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতেই ছিলেন।
আদালতের পিপি আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট। এখন দ্রুত এই রায় কার্যকর চাই।
আলোচিত রথীশ চন্দ্র হত্যা মামলায় মোট ৩৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে গত চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাতে পরকীয়া প্রেমের জেরে আইনজীবী রথীশ ভৌমিককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্ত্রী সিগ্ধা ও প্রেমিক কামরুল।
এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরে পুঁতে রাখা হয়। ৩ এপ্রিল রাতে রথীশের স্ত্রী সিগ্ধা ভৌমিক ওরফে দিপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব আটক করে। তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে জানান।
সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতে ঘরের মেঝে খুঁড়ে রথীশের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীপা ও কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমীন মুক্তার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন রংপুর কোতোয়ালি থানার এসআই আল-আমিন।
পরে ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন বিচারক।
গত ২১ অক্টোবর চার্জশিট আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেন বিচারক।