Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আওয়ামী লীগে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন সুলতান মনসুর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৮ PM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবার আওয়ামী লীগে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন সুলতান মো. মনসুর আহমেদ। ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন আমি কখনও আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসিনি, বহিষ্কৃতও হইনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং তার দল গণফোরামের অমতের মধ্যেই তার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে যাওয়ার খবর চাউর হয়ে যাওয়ার পর সোমবার রাতে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আবারও আওয়ামী লীগে ফেরার ইঙ্গিত দেন।

সুলতান মনসুর বলেন, “আমি অন্য কোনো দলে জয়েন করি নাই। আমি কখনও আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসিনি, বহিষ্কৃতও হইনি।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মনসুর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও হয়েছিলেন।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে সংস্কারপস্থি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে দলে অপাঙক্তেয় হওয়ার পর কামাল হোসেনের সঙ্গে ভেড়েন তিনি।

শপথ নিচ্ছেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মানুষ কষ্ট করে শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও আমাকে নির্বাচিত করেছে। জনগণের পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য আমি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেব। আমার ভূমিকাটা প্রো-পিপল হবে, ইতিবাচক হবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

এর আগে, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জনগণের মতামত মূল্য দিতে শপথ নিচ্ছেন জানিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে আছি। এই সময়টাতে আমার নির্বাচনী এলাকা জনগণ, যারা শত ঝুঁকি নিয়েও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মতও আমি নিয়েছি। আমি একজন মানুষও পাইনি যিনি আমার শপথের বিপক্ষে। সবাই একবাক্যে বলেছেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনরায়কে মূল্য দিয়ে শপথ নিতে। যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে।

‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের যেমন আমার প্রতি প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি আমারও দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের মতের প্রতি’-যোগ করেন সুলতান মনসুর।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পায়। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ৮টি আসন। নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ও ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে রয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন প্রথমে শপথের পক্ষে সায় দিলেও ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Bootstrap Image Preview