Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কথা বলে পুলিশের কোরাল কেড়ে নিল মেয়র

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৪৮ PM
আপডেট: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের এসআই শাহ-আলমের কিনে রাখা কোরাল মাছ জোর করে নিয়ে গেছেন কুয়কাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়ার কথা বলে তার মাছ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমন আভিযোগ ওই পুলিশ কর্মকর্তার।

বিষয়টি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী, পুলিশ সুপার পটুয়াখালী, টুরিস্ট পুলিশ সুপারকে, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজিকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

তবে কোন পুলিশ অফিসারের মাছ কেড়া নেয়া হয়নি এমন দাবি কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লার। ঘটনাটি কুয়াকাটা ছাড়িয়ে গোটা জেলায় টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছে। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে মেয়রের লোকজন।  

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের এসআই শাহ-আলম বিডিমর্নিং প্রতিনিধিকে জানান, ১ ফেব্রুয়ারি তার ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের জন্য ১৫/২০দিন ধরে বড় সাইজের দুইটি কোরাল মাছ খোঁজতে ছিলেন। ৩/৪দিন আগে ১০ কেজি ৩০০ গ্রাম ও ৬ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের দুটি কোরাল মাছ নগদ ২২ হাজার টাকায় ক্রয় করে, কুয়াকাটা মাছ বাজারে বশিরের আড়তের ফ্রিজে রাখেন। শুক্রবার বিকালে সেই মাছ বাড়ীতে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রঠানোর কথা বলে শুক্রবার বেলা সাড়ে বারেটার দিকে বশিরের আড়তে গিয়ে জোরপূর্বক এ মাছ নিয়ে যায় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা নিজেই।

এসআই শাহ-আলম আরও জানান, মেয়র মহোদয়কে সবকিছু খুলে বলে জোর অনুরোধ করার পরও এ মাছ নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে মেয়র তাকে বলেন, “এই মাছ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাতে হবে। আমি কুয়াকাটার মেয়র। আমি এত বড় মাছ পাইনা আর তোমরা পুলিশ হইয়া এত বড় মাছ এখান থেকে নিবা?” তাৎক্ষণিক বিষয়টি মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাড়ির পুলিশ রেজাউল করিমসহ উর্ধ্বতম কর্মকতাদের অবহিত করা হয়েছে জানান এসআই শাহ-আলম।  

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি খুবই দু:খজনক। সামান্য মাছ! পুলিশের ক্রয় করা সেই মাছও যদি রক্ষা না পায়!  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়তদার বশির বলেন, শাহ আলম স্যারের দুটি কোরাল মাছ আমি ম্যানেজ করে দিচ্ছি। তার মাছ পাইলেই তো হয়। শুক্রবার পৌর মেয়র তার দোকান থেকে কোরাল মাছ নিছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়র সাহেবতো প্রায়ই মাছ নেয়। গতকালও কোরাল মাছ নিছে। সেই মাছ শাহ-আলমের ক্রয় করা মাছ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এসব বাদ দেন এখন। শাহ-আলম স্যারকে মাছের ব্যবস্থা করতেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, নগদ টাকায় মাছ ক্রয় করা হয়েছে। কারো মাছ কেড়ে নেয়া হয়নি। এটি আমার বিরুদ্ধে এক জাপা নেতার ষড়যন্ত্র।

Bootstrap Image Preview