মোবাইল, ট্যাব বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে দীর্ঘসময় তাকিয়ে থাকার কারণে তরুণদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। চক্ষু হাসপাতালসহ নরসিংদীর অলিগলিতে চোখের পাওয়ারের চশমার কাজে নিখুঁতভাবে করে আসছেন হেলাল সহ অধিকাংশ কারিগররা।
এসময় হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমরা প্রতিনিয়ত দৈনিক ৫০-১০০ টি পাওয়ার গ্লাসের কাজ করে আসছি। প্রায় সময় আমাদের নিজেদেরও চোখের সমস্যা থাকে। তাই আমরা নিজেরাও পাওয়ার গ্লাস ব্যবহার করতে বাধ্য হই।
এদিকে যেমন প্রাইভেটসহ গ্রামাঞ্চলে ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকরা বিভিন্ন চোখের সমস্যা নিয়ে প্রায়ই চোখ দিয়ে পানি পড়ে চোখ ফুলন্ত অবস্থায় থাকে।
শিবপুর উপজেলা থেকে আসা সাবিকুন্নেছা (১৯) জানান, আমি বাড়ীতে বসে টাচ মোবাইল দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করার পর আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরে ও দেরহাত দূরে আমি কিছুই দেখতে পাই না। তাই আমার চোখের চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রোগ্রেসিভ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল বাসাইল নরসিংদীতে এসেছি।
এই হাসপাতালে ৫ বৎসর থেকে প্রায় পঞ্চাশ বৎসরের বৃদ্ধসহ আসছে চক্ষু চিকিৎসার জন্য।
সম্প্রীতি সময়ে এক জরিপে জানা যায় যে, নরসিংদী জেলার ৪০% এর অধিক চক্ষু সমস্যা রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল এর নিকট প্রায় ১২৬ টির অধিক চক্ষু অপারেশন করা হয়েছে। এর বেশির ভাগ রুগীই চোখে ছানি পড়া।
কান্নার সময় চোখ থেকে পর্যাপ্ত পানি না ঝরলে বা ঝরলেও খুব দ্রুত তা শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণকে বলা হয় চোখের শুষ্কতা। আক্রান্ত ব্যাক্তির সবসময়ই চোখে কিছু একটা আটকে আছে বলে মনে হয়। তাই ডা. মোঃ ইনাত জাহান (তনি) বলেন, পলক না ফেলে টানা মোবাইল, ট্যাবের মত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে বাড়ছে এই রোগের হার।
আগে এই রোগকে বার্ধক্যজনিত বলা হলেও বর্তমানে তরুণদের মধ্যে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বেশি।
নরসিংদীতে প্রতি ৫ জন পূর্ণ বয়স্কের মধ্যে তিনজন চোখের শুষ্কতার আক্রান্ত। পুরুষদের তুলনায় এই রোগে নারীরা আক্রান্ত হয় বেশি।
বিশেজ্ঞদের মতে, একটু বেশি বয়সে দৃষ্টিসমস্যা হলে দেখতে হবে ছানি পড়েছে কি না। ডায়াবেটিস ও অন্যান্য কারণে তুলনামূলক কম বয়সেও চোখে ছানি পড়তে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে চোখের রেটিনা, স্নায়ু ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ সমস্যার নাম রেটিনোপ্যাথি। এতে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। তাই দেখতে সমস্যা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ ইত্যাদি মাপা উচিত।