Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৬ ফেব্রুয়ারি যা করবে ঐক্যফ্রন্ট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৪ PM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


৬ ফেব্রুয়ারি নাগরিক সংলাপ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষজনকে চিঠি দেয়া হবে। ইতোমধ্যে খসড়া তালিকা করা হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। নাগরিক সংলাপ শীর্ষক ব্যানারে অনুষ্ঠিতব্য সংলাপে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে। এবং সবার সুচিন্তিত মতামতের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনের কর্মকৌশলের ছকও আঁকতে চান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ইতোমধ্যে খসড়া তালিকা করা হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি।

ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার পাশাপাশি পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নাগরিক সংলাপের আয়োজন করছে জোটটি।

২৮ জানুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন। পুলিশি অনুমতি না পেয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি সংলাপের দিন ধার্য করা হয়। কোনো ধরনের বাঁধার মুখে যাতে কর্মসূচি পণ্ড না হয় সেজন্য সংলাপের একাধিক স্থান রাখা হয়েছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট ও প্রেসক্লাব মিলনায়তন বুকিং দেয়া হয়েছে।

ডিপ্লোমা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনো রাজনৈতিক দলকে আমরা হল বুকিং দিচ্ছি না। সেক্ষেত্রে ডিএমপির অনুমতি লাগবে। ডিএমপির অনুমতির অপেক্ষায় আছে ঐক্যফ্রন্ট। কোনো কারণে যদি ডিপ্লোমাতে সংলাপের অনুমতি না মেলে শেষ পর্য‌ন্ত প্রেসক্লাবে সম্পন্ন করবে তারা। কারা সংলাপে দাওয়াত পাবে এবং কোথায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে তা চূড়ান্ত না হওয়ায় ছাপতে পারছে না কোনো চিঠি। চিঠির একটি ফরমেট ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ দুটি বিষয় চূড়ান্ত হলেই প্রেসে যাবে চিঠি।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নাগরিক সংলাপের আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে দলমত নির্বিশেষে সকলেই থাকতে পারবে। সাধারণ জনগণ আসতে পারে, বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকেও আসতে পারে, এমনিকি যারা প্রার্থী ছিল তারও আসতে পারে। সুতরাং সংলাপটা ওপেন থাকবে।

এদিকে চিকিৎসার জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল। শুক্রবার রাতে তার ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফিরে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন তিনি। শনিবার সম্ভাব্য বৈঠকে কাদেরকে দাওয়াত দেয়া হবে, কি নিয়ে আলোচনা হবে, ঐক্যমতের নূন্যতম ভিত্তি কি তা চূড়ান্ত করা হবে। এসব সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দাওয়াতের চিঠি ছাপানো হবে। তবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন না থাকায় তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখছে তারা। সরকারের আচরণ বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানায় ঐ সূত্রটি।

Bootstrap Image Preview