বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া অঞ্জনা খাতুন (১২)।সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে এ বিয়ে বন্ধ হয়। অঞ্জনা উপজেলার চর ঝাঐল গ্রামের আয়নাল হোসেনের মেয়ে ও ঝাঐল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চর ঝাঐল গ্রামের আয়নাল হোসেনের বাড়িতে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার খামারিয়া পাড়া এলাকার মৃত ঘিয়ের উদ্দিনের ছেলে কুরবানের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চলছিল চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া অঞ্জনার। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন এবং ১৮ বছরের আগে অঞ্জনাকে বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা প্রদান করেন অঞ্জনার পরিবার।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অঞ্জনার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। ১৮ বছর বয়সের নিচে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া বা ১৮ বছর বয়সের নিচে কোন মেয়েকে বিয়ে করা হবে না বলে বর ও কনের পরিবারের পক্ষ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।