Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারী দিয়ে কলেজশিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন দুই পুলিশ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫১ PM
আপডেট: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পুলিশ জনগণের বন্ধু, আপদে বিপদে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় মানুষ। তবে কিছু সময় ভিন্ন রকম ঘটনাও ঘটে থাকে। যেখানে জনগণের বন্ধু না হয়ে শত্রুর ভূমিকায় দেখা যায়। এ রকম দুই একটা বিছিন্ন ঘটনার কারণে সর্ম্পূণ দায় যেয়ে পরে পুলিশ বাহিনীরে উপর। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীতে। সেখানে নারীকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে এক কলেজশিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে শেষ পযর্ন্ত ফেঁসে যাচ্ছেন মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দুই সদস্য।

নগরীর চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত এই দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আরএমপি কমিশনারের কাছে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। আর এ দুই পুলিশ সদস্য হলেন- চন্দ্রিমা থানার এএসআই আবদুল মমিন ও কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা।

এএসআই মমিন এখন আরএমপির পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণে থাকলেও কনস্টেবল মোর্তজাকে নিয়ে চন্দ্রিমা থানা এলাকায় একটি সরকারি কলেজের একজন শিক্ষককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে নগরীর শিরোইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে শিরোইল এলাকায় হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তখন দেখি, রাস্তার পাশে দুজন ব্যক্তি একজন মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা হঠাৎ করে আমাকে ডেকে বলেন- আমি নাকি তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছি। এ সময় ওই দুই ব্যক্তি পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমাকে থানায় নিতে চান। আমি প্রতিবাদ করলে তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।

ওই শিক্ষক জানান, তিনি ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি না হলে তার কাছে ১২ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা দেয়ার নামে তিনি কৌশলে তাদের নগরীর ভদ্রা মোড়ে নিয়ে যান। এরপর পরিচিত লোকদের নিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা মেয়েটি ঘটনা আঁচ করতে পেরে সটকে পড়েন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এরপর চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে কথা বলতে এএসআই আবদুল মমিনের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কথা হয় কনস্টেবল গোলাম মোর্তজার সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি সে রকম কিছু না। আমাদের কথা কেউ শুনতে চাইছে না। তবে বিষয়টি কি রকম জানতে চাইলে তিনি চুপ ছিলেন।

জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বুধবার দুপুরে বলেন, এএসআই মমিন থানায় কর্মরত হলেও পুলিশ লাইনে ট্রেনিং করছেন। সেখান থেকে কেন থানা এলাকায় এসেছিলেন সেটাই তো বড় প্রশ্ন। তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আর থানার কনস্টেবল মোর্তজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview