Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগাম খরার কবলে কুড়িগ্রাম, বিপাকে কৃষক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৫০ PM
আপডেট: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৫০ PM

bdmorning Image Preview


গ্রীষ্মকাল আসতে এখনও কিছুদিন বাকি এর আগেই কুড়িগ্রামের অধিকাংশ স্থানে দেখা দিয়েছে আগাম খরা।  তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাতকে এর জন্য দায়ী করছেন কৃষকরা। আর জলবায়ুর এ প্রভাবে দীর্ঘমেয়াদী খরার কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের বৃহৎ নদ ব্রহ্মপুত্রসহ, তিস্তা, ধরলাসহ প্রায় ১৬টি নদ-নদী এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। আর এসব নদ-নদীর ৩১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক ছোট-বড় চর-দ্বীপ জেগে উঠেছে। এসব চরাঞ্চলে প্রায় ৪/৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। মূলত কৃষির উপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকতে হয় এই জনপদের মানুষদের।

কিন্তু গত বছর উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চলতি বছরের শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলের কৃষককে পড়তে হয়েছে আগাম খরার মুখে। মাটির আদ্রতা শুকিয়ে যাওয়ায় আবাদকৃত ফসলের ফলন নিয়ে শঙ্কিত চরের কৃষকরা। বন্যা মানেই অভিশাপ হলেও এ জেলার জন্য বন্যা আশির্বাদস্বরূপ বলেই এখন মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলার মোট আবাদী জমি ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৩ হেক্টরের মধ্যে চরাঞ্চল জমি রয়েছে ৫৫ হাজার ৪০৮ হেক্টর। আর আবাদ হয় ৩৪ হাজার ৯০১ হেক্টর জমিতে। চরাঞ্চলের কৃষকরা ধান, বাদাম, কাউন, সরিষা, তিল, তিশি, মাসকালাই, তরমুজ, মিষ্টিকুমড়া, আলু ও বাঙ্গিসহ হরেক রকম ফসল উৎপাদন করেন এসব চরাঞ্চলের জমিতে।

সদর উপজেলার চর যাত্রাপুরের কৃষক আব্দুল লতিফ (৬০) চরের তিন বিঘা জমিতে ধান, বাদাম, মাসকালাই আবাদ করেছেন। চলতি শুষ্ক মৌসুমে মাটি শুকনা থাকায় খরচ বেশি পড়েছে। ফলনও তেমন একটা হয়নি।

জেলা আবহাওয়া অফিসের আবহওয়া পরিদর্শক এএইচএম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, চলতি শুষ্ক মৌসুম জুন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাপমাত্রা এবার ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ারও পূর্বাভাস দেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় কুড়িগ্রামের আবাদী জমিতে পানি ধরে রাখার ধারণক্ষমতা কম।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, জলবায়ুর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে নদ-নদীসহ জীববৈচিত্রে এর প্রভাব পড়ছে। জেলাকে বড় ধরনের খরার হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার ইতোমধ্যে নদ-নদী খনন কাজের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে পানির সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন খরার কথা স্বীকার করে জানান, জেলার নদ-নদীতে পানি না থাকায় চরাঞ্চলের কৃষকসহ অনেক কৃষকই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিশেষ প্রণোদনাসহ চরাঞ্চলের কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।

Bootstrap Image Preview