Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৪ গুণ দ্রুত গতিতে গলছে গ্রিনল্যান্ডের বরফ, হুমকিতে বাংলাদেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:০৪ PM
আপডেট: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:০৪ PM

bdmorning Image Preview


পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ফলে গ্রিনল্যান্ডে বরফ ধারণার চেয়ে দ্রুতগতিতে গলছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক মার্কিন সংস্থা নাসার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেখানে ২০০৩ সালের পর বরফ গলার হার চার গুণ বেড়ে গেছে, যা অতীতে কখনোই ঘটেনি। এর ফলে বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর হুমকি আরো বেড়ে গেল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এই গবেষণায় নাসার জলবায়ুবিষয়ক অভিযানের নানা তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা গেছে, ২০১২ সালে গ্রিনল্যান্ডে ৪০ হাজার কোটি টনের বেশি বরফ গলেছে, যা ২০০৩ সালের চেয়ে চার গুণ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরফ গলেছে দক্ষিণ গ্রিনল্যান্ড অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য এত দিন ওই অঞ্চলকে হুমকি মনে করা হতো না। কারণ অঞ্চলটিতে বিশাল কোনো হিমবাহ নেই। বরফে আচ্ছন্ন গ্রিনল্যান্ড উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত। দ্বীপ হিসেবে সেখানেই সবচেয়ে বেশি বরফ রয়েছে। এ দ্বীপের বেশির ভাগই আর্কটিক বৃত্তের উত্তর অংশে অবস্থিত। সূর্যের আলো কম পৌঁছানোয় (দিনে তিন ঘণ্টারও কম) দ্বীপটি প্রায় সময়ই তীব্র ঠাণ্ডা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

গবেষকদলের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাইকেল বেভিস বলেন, ‘এটা আগে থেকেই জানা ছিল, বড় বড় হিমবাহ দ্রুত গলতে থাকায় এক ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এবার আমরা আরেকটি বড় ঝুঁকির বিষয়ে জেনেছি। সেটি হলো, হিমবাহ ছাড়াও বরফের অন্যান্য পিণ্ড দ্রুতগতিতে গলছে। আর সেই পানি নদী হয়ে সাগরে মিশে যাচ্ছে।’ বেভিস বলেন, বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির আরেকটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এর কারণে ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশসহ মিয়ামি ও সাংহাইয়ের মতো উপকূলীয় অঞ্চলগুলো।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল—এই ১৪ বছরে গ্রিনল্যান্ডে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টন বরফ গলেছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দশমিক ০৩ ইঞ্চি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে দেখেছেন, গ্রিনল্যান্ডের সব বরফ গললে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যাবে। আর এতে করে সমুদ্রের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে উপকূলীয় অনেক দেশ ও অঞ্চল। মাইকেল বেভিসের শেষ কথা হলো, ‘বরফ গলার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা এখন প্রায় অসম্ভব। এখন একটাই চেষ্টা থাকতে হবে যে কিভাবে আমরা বৈশ্বিক উচ্চতা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে পারি।’

Bootstrap Image Preview