Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ শনিবার, সেপ্টেম্বার ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চীনের মারণাস্ত্র আতঙ্কে তিন হাজার অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল কিনছে ভারত!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৪৩ PM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নতুন বছরে চীনের হাতে বেশকিছু মারণাস্ত্র যোগ হয়েছে, যা এ মুহূর্তে বিশ্বে অত্যাধুনিক। আর এসব কারণে ভারত অত্যাধুনিক কে-৯ বজ্র ট্যাংকের পর 'মিলান -টি' অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল কেনার পরিকল্পনা করছে।

ভারত ৩ হাজার ‘মিলান ২টি’ অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল কেনার চিন্তাভাবনা করছে ভারত। এগুলো কিনতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম।

কী আছে ‘মিলান ২টি’তে ‘মিলান ২টি’ ফ্রান্সে তৈরি হয়েছে। এটি সেকেন্ড জেনারেশন অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল।

মিলানের পাঁচটি ভার্সন রয়েছে। এগুলো হলো: মিলান ১, মিলান ২, মিলান ২টি, মিলান ৩ এবং মিলান ইআর।

এর মধ্যে মিলান ৩ এবং ইআর হল থার্ড জেনারেশন অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল।

১৯৭২ সাল থেকে সেনাবাহিনীতে মিলানের ব্যবহার শুরু হয়। এর মধ্যে অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইলের ব্যবহার হয়েছে সাউথ আফ্রিকান বর্ডার ওয়ার, লেবাননের গৃহযুদ্ধ, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও ২০১৭ ইরাক-কুর্দ সংঘর্ষে।

এ মিসাইলে সেমি অটোমেটিক কম্যান্ড টু লাইন অব সাইট (স্যালকোস) সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়। এতে একজন অপারেটর থাকেন যিনি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার জন্য মিসাইলকে গাইড করেন।

মিলান শ্রেণির মিসাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব হলো, এটা অন্য মিসাইলকে ট্র্যাক করে পেছনের দিকে লাগানো ইনফ্রারেড ল্যাম্প বা ইলেকট্রনিক ফ্ল্যাশ ল্যাম্পের মাধ্যমে।

এটি ওয়্যার-গাইডেড মিসাইল। এটি উৎক্ষেপণস্থল থেকে মিসাইলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ব্যবস্থাও অনন্য।

তবে এই ওয়্যার-গাইডেড মিসাইলের রেঞ্জ বেশি হয় না। সর্বাধিক রেঞ্জ চার কিলোমিটার। যেখানে মিলান ২টি-এর রেঞ্জ উৎক্ষেপণস্থল থেকে ২ কিলোমিটার।

প্রসঙ্গত, চীন-ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য ৪৪টি কৌশলগত সড়ক তৈরি করতে যাচ্ছে ভারত। ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগের (সিপিডব্লিউডি) ২০১৮-১৯ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কটি অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, জম্বু ও কাশ্মীর, উত্তরখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে তৈরি হবে। সব মিলিয়ে এটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ভারতীয় ২১ হাজার ৪০ কোটি রুপি।

সড়কগুলোর বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদ কমিটির কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই সরকারি কর্মকর্তা জানান, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) ও সিপিডব্লিউডির মধ্যে নির্মাণকাজটি বিভক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারত ও চীনের মধ্যে ৪ হাজার ৬৪৩ কিমিজুড়ে সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ৭৩টি কৌশলগত সড়ক নির্মাণে বর্তমানে বিআরও ও সিপিডব্লিউডি জড়িত। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসা বিআরও এ ৬১ সড়ক নির্মাণ করছে। সিপিডব্লিউডি অবশিষ্ট ১২ সড়ক নির্মাণ করছে।

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুই হাজার ২০০ কিলোমিটার সীমন্ত রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- পাঞ্জাব ও রাজস্থান হয়ে সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫০ কোটি ভারতীয় রুপি।

Bootstrap Image Preview