ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুরে দনগানগামী পাকা সড়কে নোনার উপর ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য আর কোন বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
২০০৪ সালে ২০ জুন স্থাপিত এই ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফিট। উপজেলা সদর থেকে ব্রিজের দূরুত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। দেখভালের অভাবে প্রতিবছর বন্যায় ব্রিজের সংযোগস্থল ও তার আশেপাশে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের দু'পাশের র্যালিং ভেঙ ব্রিজের সাথে মিশে গেছে। রাতে ব্রিজ পার হতে মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে পড়তে হয়।
অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্রামের কোন মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে বা বাহিরে জরুরী চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হলে ১০/১২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে উপজেলা সদরে আসতে হয়। এই ব্রিজের উপর দিয়ে কোন যানবাহন আসতে চায় না। গত বছর এই ব্রিজে বেশ কয়েকটি যানবাহন যাত্রীসহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাই ব্রিজটি অতি জরুরীভাবে মেরামত বা নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন।
দনগাও গ্রামের আজাহার আলী বলেন, ব্রিজের পশ্চিম পারে ৩টি গ্রাম ও পূর্ব পারে ৩টি গ্রাম। এই ৬টি গ্রামের প্রায় ২০/৩০ হাজার মানুষের চলাচল। ব্রিজ নির্মাণ হওয়ার পর গ্রামে গড়ে ওঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের বন্যায় ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার সাথে যোগাযোগের আর কোন বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া কোন উপায় নেই।
তিনি বলেন, ব্রিজটি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মেরামত বা পুনর্নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়াও বিপদে পরবে কৃষক ও সাধারণ মানুষ।
উপজেলা সদর ৫নং হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মঙলা বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় ব্রিজটির পশ্চিম পারের উপর দিয়ে পানি প্রাবাহিত হচ্ছিল, এতে ব্রিজের উত্তর পাশের মাটি পানিতে ভেসে যায় এবং মানুষের চলাচল বিঘ্ন হয়। সংবাদ পেয়ে তৎক্ষনাৎ বাঁশ ও বালুর বস্তাদিয়ে মেরামত করা হয়। ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী ও নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান কে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ বলেন, এই ব্রিজটিকে ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করে জনসাধারণকে জানানো হয়েছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।