Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজে প্রশ্ন বিভ্রাট, ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৫৪ PM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


চলছে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। পর পর দুই পরীক্ষায় প্রশ্নে অসঙ্গতি। মিলছে না সুরাহা। আর এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষোদগার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের পরীক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের বিভ্রাট তুলে ধরে পরবর্তী পরীক্ষা থেকে সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলোর ব্যবস্থাপনা বিভাগের 'সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা' পত্রের পরীক্ষা ছিল। লিখিত ৮০ নম্বরের ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, গ-বিভাগে মোট ৫টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে। দেওয়া আছে ৭টি প্রশ্ন। যেখানে থাকার কথা ছিল ৯টি প্রশ্ন। সেখানেই বাঁধে পরীক্ষার্থীদের বিপত্তি। আগের পরীক্ষা 'আর্থিক ব্যবস্থাপনা' পত্রেও একই অসঙ্গতি চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থীরা হলেই প্রতিবাদ জানান। তবে আসেনি তাৎক্ষণিক কোনও সমাধান। পরীক্ষকরাও বিষয়টিতে 'তাদের কিছু করার নেই' বলে জানান।

বৃহস্পতিবার আরও কয়েকটি বিভাগের প্রশ্নে এমন বিভ্রান্তির খবর জানান পরীক্ষার্থীরা। ওই সাত কলেজে গেল ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অনার্স (সম্মান) ফাইনাল পরীক্ষা। ৭টি কলেজে পড়েছে পরীক্ষার কেন্দ্র।

পরীক্ষার্থীদের একজন সুমন চৌধুরী। পরীক্ষা দিচ্ছেন সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে। তার অভিযোগ, ১ম বর্ষ থেকেই একই নিয়মে পরীক্ষা দিচ্ছি। গ-বিভাগে ৯টি প্রশ্নের বিপরীতে ৫টির উত্তর দিয়ে থাকি। এবার তার ব্যত্যয় ঘটছে। কেন্দ্র থেকে বিষয়টির সমাধানও দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের জন্য এটি খুব 'ঝুঁকিপূর্ণ' হয়ে যাচ্ছে। ৮টি প্রশ্ন থাকলে উত্তর দিতে সহজ হতো।

একই অভিযোগ করে পারভেজ আকন্দ নামে এক পরীক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেন, 'এটা কোন পাড়া-মহল্লার কোচিং এর পরীক্ষা ছিল না-যে টাইপিং মিসটেক বলে উড়িয়ে দেবে! তাও একবার না দুইটা পরীক্ষায় এমন অসঙ্গতি! তাও ৪র্থ বর্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায়।

আসিফ ইকবাল নামে একজনের অভিযোগ, গ-বিভাগের প্রশ্ন ২ টা কম। তাও আবার খ-বিভাগের প্রশ্ন গ-বিভাগে রিপিট!

আরেকজন পরীক্ষার্থী লেখেন, ঢাবি ঠিক কতটা অবহেলা আমাদের ৭ কলেজকে করছে- যে প্রশ্ন করার পর তা ঠিকঠাক আছে কি না, তারও মূল্যায়ন করে না।

সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা জানান, প্রশ্নে গ-বিভাগে দুইটি প্রশ্ন কম থাকায়, শিক্ষার্থীদের চাপে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ৪ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলে।

কিন্তু জানা যায়, তিতুমীর কলেজের এক কক্ষে এমন ঘোষণা না দেয়ায় ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীদের ৫টি প্রশ্নের উওরই দিতে হয়। ইডেন কলেজের বেশকিছু শিক্ষার্থী বিষয়টি জানা সত্ত্বেও ৫টি প্রশ্নের উওর দেয় এবং গত ১৪ জানুয়ারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন কম থাকায়, ইডেন কলেজের কিছু পরীক্ষা কক্ষের বোর্ডে বাড়তি ১টি প্রশ্ন লিখে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রশ্নের কাঠামো আগে থেকে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকতে ওই সাত কলেজের প্রশ্নের কাঠামোর সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করলে হবে না। আর যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিষয়টি ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরীর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে- 'অফিস আওয়ার ছাড়া তিনি কথা বলবেন না' বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংশ্লিষ্টদের একজন।

তবে পরীক্ষার্থীরা পরবর্তী পরীক্ষা থেকে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান চান। বিষয়টি দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নেওয়ার দাবি জানান।

Bootstrap Image Preview