Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরিবার ভাঙ্গনের সন্দেহে ভায়রা ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা 

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৭ PM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়নি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মোহানী গ্রামের আব্দুল মালেক ব্যাপারীর ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী আয়নাল ব্যাপারী (৪২)। মরদেহ রেলওয়ে সড়কে ফেলে দিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে বলে জানাজানি হলেও আয়নালের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ও থানা পুলিশ দৃঢ়তায় প্রায় ২ মাস পর প্রমানিত হয় তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারই ভায়রা ভাই পৌর এলাকার চৌড়া গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে শহিদুল্লাহ (৪৫)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘাতক শহিদুলকে আটকের পর দুপুরে গাজীপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া। 

স্থানীয় ও থানা সুত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে বালীগাঁও এলাকা গত ২৮ নভেম্বর ট্রেনে কাটা পড়া আয়নালের দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে আয়নালের পরিবার দাবি করে ট্রেনে কাটা পড়ে নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আয়নালের স্ত্রী কোহিনূর বেগম দুবাই প্রবাসী। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। 

এদিকে আয়নালের ভায়রা ভাই ও খুনি শহিদুলের স্ত্রী নিলুফা বেগম জর্দান প্রবাসী। তাদের দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে। শহিদুল মাদকাসক্ত, পরস্ত্রীকাতর ও জুয়ার নেশায় মত্ত থাকত সব সময়। আর এসব তথ্য প্রবাসী স্ত্রী নিলুফার কাছে যায়। এ নিয়ে প্রবাস থেকে শহিদুলের স্ত্রী তার সাথে ঝগড়া করে। পরে তার প্রবাসী স্ত্রী সেখানে একজনকে বিয়ে করে। আর এসব ঘটনার জন্য শহিদুল সবসময় তার ভায়রা ভাই আয়নালকে সন্দেহ করত। আর সেই সন্দেহের কারণেই তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার দিন ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় আয়নালকে নিয়ে রেলওয়ে সড়কের পাশ দিয়ে হাটছিল শহিদুল। এ সময় তার হাতে থাকা গামছা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনা ভিন্নাখাতে নেওয়ার জন্য ট্রেনে কাটার নাটক সাজায়। দীর্ঘ প্রায় ২ মাস পর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়ার নেতৃত্বে ঘটনা সঠিক পথে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে ঘাতক শহিদুলকে আটকের পর দুপুরে গাজীপুরে আদালতে পাঠানো হয়।   

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া জানান, আটককৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সত্যতা মিলেছে। এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই কাজল ব্যাপারী বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাকে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

Bootstrap Image Preview