জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নান্দুলা নিকড়দিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই প্রতিষ্ঠানের (লাইব্রেরীয়ান) সহকারী শিক্ষক দ্বারা শারীরিকভাবে নিযার্তনের অফিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক কবির উদ্দিন লিখিত ভাবে বিভিন্ন দপ্তরে অফিযোগ পত্র পাঠান।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় চলাকালে সহকারি শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান অফিস রুমে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষকের নিকট তার বেতনের বিষয়ে জানতে চায়। হঠাৎ সে প্রধান শিক্ষককে গালমন্দ করে এবং এক পর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের মাথায় ও চোখে-মুখে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এতে প্রধান শিক্ষক মাথায় আঘাত পান এবং রক্তপাত হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক আবাদি জমি, বড় একটা পুকুর আছে যা থেকে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা আয় হয়। কিন্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কোন সঠিক হিসাব দেয় না। এমনকি বেশী লাভের আশায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিন্মমানের প্রকাশনীর গাইড বই সরবরাহ করে থাকেন। আমরা আমাদের সঠিক হিসাব চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাঁক-বিতান্ড হয় মাঝে মধ্যে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নওয়াব আলী বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অন্য এক শিক্ষকের একটু কথা কাঁটাকাটি হয়েছে আমরা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বসেছি বিষয়টি সমাধানের জন্য।