জামালপুরের মেলান্দহে পারবারিক কবরস্থানে সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উত্তর রেখিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
জানা যায়, ডায়াবেটিস ও লিভারের নানা জটিলতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর। এর আগেও চলতি মাসের শুরুর দিকে শ্যামলীর ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পরামর্শে ইবনে সিনা থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তরিত করা হয়।
১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করা এই প্রবীণ সাংবাদিক প্রায় সাড়ে চার দশক সাংবাদিকতা জগতে কাজ করেছেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের প্রথম অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন আমানুল্লাহ কবীর।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলা দৈনিক আমার দেশ ও ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের (বর্তমানে বিলুপ্ত) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের শুরুর দিকের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব স্থানীয় ছিলেন প্রবীণ এই সাংবাদিক।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের অধিকার আদায় আন্দোলনের পাশাপাশি এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনেও পেশাজীবীদের মধ্যে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন তিনি।