বিমান যাত্রীদের সহজতর যাতায়াতের সুবিদার্থে এই প্রথম কর্ণফুলী নদীতে চালু হচ্ছে ওয়াটার বাস। দ্রুত সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছাতে নগরের সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট পর্যন্ত এ সার্ভিস চলবে। মূল শহর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কের মোড়ে মোড়ে মাত্রাতিরিক্ত যানজটে পড়া যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে বিকল্পরোড হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ।
বন্দর সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৪ টি ৩০ আসনের দ্রুতগতির ওয়াটার বাস নামানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওয়াটার বাস নির্মাণের জন্য চিটাগাং ড্রাইডকের সঙ্গে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ওয়াটার বাস পরিচালনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সদরঘাটের সী-রিসোর্সেস কোম্পানির পূর্বপাশে যাত্রীদের সুবিধার্থে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। ওয়াটার বাস তৈরির জন্য চট্টগ্রাম ড্রাইডককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগির বিমানযাত্রীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, নগরীর দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, নিমতলা, ইপিজেড হয়ে বিমানবন্দর যাওয়ার হাইওয়ে মূল সড়কটি মাত্রাতিরিক্ত যানজট লেগে থাকে। এ মুহুর্তে হাইওয়ে সড়কের যানজট সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা খুবেই কঠিন। বে টার্মিনাল নির্মাণের আগে বন্দরমুখী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি চলাচল কমানো সম্ভব নয়। তাই সরকার বিকল্প হিসেবে বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের সুবিদার্থে ওয়াটার বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার-ই-আজম বলেন, দেওয়ানহাট, ইপিজেড, পতেঙ্গা, বন্দর থানা এলাকায় যানজটের কারণে বর্তমানে ফ্লাইটের যাত্রীদের তিন ঘণ্টা আগে রওনা দিতে হয় শহর থেকে। তাই সরকারের বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে সদরঘাট থেকে ১৫ নম্বর ঘাট (এয়ারপোর্ট) পর্যন্ত ওয়াটার বাস চালু করা। দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষ এ রুটের সুফল পাবেন।