রাইড শেয়ারিং-অ্যাপের মাধ্যমে মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা নারী বাইকার শাহনাজের স্কুটি ছিনতাই মামলার আসামি জোবাইদুল ইসলাম এডমন ওরফে জনির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত কিনা ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম খান।
অপরদিকে আসামির আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ড দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শুনানির সময় বলেন, ‘আসামির সঙ্গে এ মামলার বাদি পূর্ব-পরিচিত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি তারা দেখা করেছেন। যেদিন ঘটনা ঘটেছে, ওই দিন বাদির সঙ্গে আসামি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমনটা হয়েছে। ’ আসামিকে নির্দোষ দাবি করে আইনজীবী এই আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় আসামির জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে স্কুটি বাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায় জনি নামের ওই যুবক। পরে ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাহনাজ। জিডি নম্বর ৯১১। জিডিটি পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে জানা গেছে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, স্কুটিটির মূল্য ৫৮ হাজার টাকা। জনি (২৭) নামে এক পাঠাওচালকের সঙ্গে পরিচয় হলে সে তাকে (শাহনাজ আক্তার) চাকরি দেওয়ার কথা বলে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে খামারবাড়িতে চাকরির জন্য আসতে বলে। তবে চাকরির জন্য যার সাথে দেখা করানোর কথা ছিল সে আসেনি।
জনি তার (শাহনাজ আক্তার) সঙ্গে স্কুটিতে করে এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে শেরেবাংলা নগর থানার রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় চা পান করতে যায়। চা পান করার একপর্যায়ে শাহনাজকে স্কুটি চালানোর বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে জনি। স্কুটি চালিয়ে দেখতে চায়। শাহনাজ তাকে স্কুটির চাবি দিলে জনি স্কুটি নিয়ে চলে যায়। এরপর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।