কিছু দিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছিলো ট্রেনের টিকেট করতে এখন থেকে এনআইডি কার্ড লাগবে। এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে টিকেট কেটে দেখা যায় সোনার বাংলা ট্রেনের সব টিকিটে রয়েছে যাত্রীর নাম। টিকেট কেনার সময় যাদের এনআইডি কার্ড নেই তাদের লাগবে জন্ম নিবন্ধন। লাগবে যাত্রীর মোবাইল নাম্বারও। গত ১ জানুয়ারি থেকে শুধু অনলাইনের ১৫ ভাগ টিকিটের ক্ষেত্রে এ বিধান থাকলেও এখন সব টিকিটেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) কমলাপুর ও চট্ট্রগাম রেলওয়ে স্টেশনে এনআইডি ছাড়া ‘সোনার বাংলা ট্রেন’র কোনো টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীকে কাউন্টারে এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনপত্র দেখিয়ে টিকিট নিতে দেখা গেছে। আর টিকিটের সঙ্গে যাত্রীর নাম যুক্ত থাকছে। ১৮টি অক্ষরের মধ্যে নাম সীমাবদ্ধ রেখে টিকিট প্রিন্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, ১৫ জানুয়ারি থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন দিয়ে টিকিট বিক্রির ঘোষণা আগেই দেওয়া ছিল। তবে আগে যারা অগ্রিম টিকিট নিয়ে নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগেনি। এখন থেকে কেউ সোনার বাংলার টিকিট নিতে চাইলে অবশ্যই এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন দেখাতে হবে।
রেলস্টেশন থেকে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ননস্টপ সোনারবাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৫৮৪। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ মোবাইল ও অনলাইনে বিক্রি হয়। বাকিগুলো কাউন্টার থেকে যাত্রীকে কিনতে হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএসবিডি জানায়, টিকিট আগের মতই থাকছে শুধু নিচের দিকে যাত্রীর নাম লেখা থাকবে। এই নাম ১৮টি অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। কারও নাম আরও বড় হলে ডাক নাম বা সংক্ষেপে নাম লিখতে হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ গ্রহণ করে রেলওয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম সোনার বাংলার অনলাইন টিকিটে এবং ১৫ জানুয়ারি থেকে বিক্রি হওয়া সব টিকিটে এই বিধান কার্যকর করে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কালোবাজারি দূর, নিরাপত্তাসহ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে টিকিটের গায়ে যাত্রীর নাম, বয়স এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জরুরি হয়ে পড়েছিল। মাস তিনের মধ্যে সব ট্রেনে টিকিটের রং পরিবর্তনসহ নতুন কাগজে নাম, এনআইডি ও বয়সযুক্ত টিকিট পুরোপুরি চালু হবে।