Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ সোমবার, মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জাতীয় নির্বাচন 'প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি': টিআইবি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৩৭ PM
আপডেট: ১৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ফলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা গেলেও তা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি এ কথা জানায়।

দ্বৈবচয়নের (লটারি) ভিত্তিতে করা গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। আরও জানান হয় গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে আজ এবং আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করে সামনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

সংস্থাটি দাবি করেছে, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও নিরপেক্ষ ছিলো না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভোটে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সবার জন্য সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেনি। নিশ্চিত করতে পারেনি সব দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও।

‘একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। তার নিকটাত্মীয় প্রার্থী হলেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেননি তিনি। এছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিলো না,’ বলেন তিনি।

তাই এসব অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছে টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি দাবি করে, তাদের গবেষণার ৫০টির মধ্যে ৪৭ আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর জাল ভোট পড়েছে ৪১টি আসনে। ৩৩টি আসনে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। এসব আসনের এক বা একাধিক কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

টিআইবির গবেষণা অনুযায়ী, জাল ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ আসনে। আর ৬৬ শতাংশ আসনে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মারা হয়েছে। আর নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে ৯৪ শতাংশ আসনে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও দাবি করা হয় , সারাদেশের বেশিরভাগ কেন্দ্র আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের নেতাকর্মীদের দখলে থাকার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের দমনে সরকারের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন নিরবতা পালন করেছে বা ক্ষেত্র বিশেষে অস্বীকার করেছে। ফলে সব দল সমান সুযোগ পায়নি।’

টিআইবি আরও জানায় , সংসদ না ভেঙে নির্বাচন করার ফলে সরকারে থাকায় প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা আদায় করা ক্ষমতাসীন দল ও জোটের জন্য সহজ হয়েছে।

এছাড়া সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রচুর ত্রুটি রয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলোতে যাতে ত্রুটি না হয়, সেজন্য যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

টিআইবি এবারের নির্বাচনে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪৫টি জেলার ৫০টি আসনের নির্বাচন বিষয়ে গবেষণা করে। তারই আলোকে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

Bootstrap Image Preview