দালাল রাজ্যে পরিণত হয়েছে নরসিংদী বিআরটিএ অফিস। সরকারি এ অফিসের সব ধরনের কর্মকর্তাগণ দালালদের মাধম্যে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান টাকা। দালালদের যায়গা করে দিতে বিআরটিএ এডি অফিসের মূল ফটকের সামনে আলাদা টেবিল দিয়ে সাজানো হয়েছে আরও একটি অফিস, যেখানে দালালরা বসেন!
নানা কৌশলে এই টেবিল থেকে দালালরাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন এ অফিসের কার্যক্রম। সেখানে গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মালিকানা হস্তান্তর, ফিটনেস সার্টিফিকেটসহ যে কোনো কাগজপত্র সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারি ফি জমা দেওয়ার আগে দালালি কমিশন পরিশোধ করাটা যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
মনোহরদী উপজেলা থেকে নিজের গাড়ির কাগজ-পত্র ঠিক করতে আসা মোঃ শাহিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘বিআরটিএ কর্মকর্তাদের নিকটে গেলে তারা বলেন ঐ টেবিল(দালালদের) থেকে পাশ হয়ে আসছে কিনা তোমার কাগজ’।
দালালদরে টেবিল থেকেই কর্মকর্তাদের ঘুষের টাকা আসে। ঘুষ আর কমিশনের টাকা প্রাপ্তি নিশ্চিত হলেই কেবল সরকারি ফি ব্যাংকে জমাদানের নির্দেশনা পাওয়া যায় কর্মকর্তাদের থেকে।
নরসিংদী বিআরটিএ কার্যালয়ে ঢুকতেই মূল দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার সামনে অধিকাংশ চিহ্নিত দালালদরে বসে থাকতে দেখা যায় দায়ত্বিরত র্কমর্কতাদরে সাথ।
এই অফিসে সরকারী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছেন ৫ জন। এ বিষয়ে বিআরটিএ’র দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এডি মইদুল হোসেঙ্কে তার অফিসের সামনে দালালদের টেবিলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে প্রস্তুত নয় বলে জানান।
বিআরটিএ অফিসে আগত সেবা প্রার্থীদের গাড়ি এলেই চালকদের আগে যেতে হয় দালালদরে কাছ। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ও কম সময়ের মধ্যেই চাহিদামাফিক সেবা দেওয়ার নানা প্রতিশ্রুতি দিতে থাকে এই টেবিল সাজিয়ে বসে থাকা দালালরা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথেই স্ট্যাপলার পিনে আটকানো খামের ভিতরেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কর্মকর্তাদের চাহিদামাফিক ঘুষরে টাকা। যথারীতি ফাইলিং করে এই টেবিলের দালালদের হাত ধরে কাজ সম্পাদন শেষে যা পৌছে যায় কর্মকর্তার হাতে।
উল্লখ্যে, বিগত সময়ে দুদকের একটি টিম এসে হাতে নাতে দালালদের ধরলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও টেবিল বসিয়ে র্কাযক্রম শুরু করছে তারা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না, বদলাচ্ছে না বিআরটিএ’র এই টেবিলের দৌরাত্ম্য।
এ বিষয়ে নরসিংদীর মোটরযান পরিদর্শক ও সদস্য সচিবের (ডিসিটিবি) দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি কথাটি এড়িয়ে যান এবং বলেন যে, মাত্র তিন মাস হয়েছে আমি এখানে এসেছি, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু এই বিআরটিএ’তে কাজ করতে আসা সবো র্প্রাথীরা প্রতনিয়িত হয়রানী ও লাঞ্ছিত হয় বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়ছেে