আমি কখনো বলিনি সংলাপ হবে: কাদের

আমি কখনো বলিনি সংলাপ হবে। কেউ যদি মনগড়া খবর পরিবেশন করেন তাহলে তো কিছু করার নেই। আমি যে বক্তব্য রেখেছি তার অডিও-ভিডিও ক্লিপ রয়েছে, সেখানে সংলাপের কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ দুপুরে ধানমন্ডি-২৭ এর হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিজয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামি ১৯ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিজয় সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সমাবেশে আপনারা যাবেন, আপনাদের সবার দায়িত্ব আছে । সমাবেশে আমাদের প্রমান করতে হবে আমরা শৃখল একটি দল। উৎসবমুখরভাবে সমাবেশে উপস্থিত হবেন সমাবেশের সরঞ্জাম নিয়ে। তবে সমাবেশস্থলে ডুকার আগে ফেস্টুন, ব্যানার বাইরে রাখ হবে। গেইটের সংখা বাড়ানো হয়েছে। মহিলাদের জন্য আলাদা গেইট। দুপুর ১ টার মধ্য সমাবেশস্থলে থাকতে হবে সবাইকে। সমাবেশ শেষ না হওয়া বা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমাবেশস্থল ত্যাগ করবেন না।’

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাস্তায় যখন মিছিল করবেন পুরো রাস্তা দখল করবেন না। এক সাইড ফাঁকা রাখবেন। রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে মহাবিজয়ের মহাদাপট দেখাচ্ছে এমন যেনো না হয়। সহিস্নু হতে হবে, বড় বিজয়ের সাথে বড় দায়িত্ব।’

সংলাপ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমি কখনো বলিনি সংলাপ হবে, বরং আমি বলেছি নির্বাচনের আগে যে ৭৫ টি দলের সাথে প্রধানমন্ত্রী সংলাপ করেছেন। সেই দলগুলোক আমন্ত্রন জানাতে চান শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। আমি সংলাপ কথাটি উচ্চারণ করিনি। যে নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রশংশিত সেখানে সংলাপের প্রশ্ন আসে কীভাবে। জাতিসংঘ বলেছে শেখ হাসিনার সাথে কাজ করতে তারা রাজি। এই নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বিপুল জয় পেয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সংলাপ হাস্যকর।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের উপজেলা নির্বাচন আগামী মাসে নির্বাচন কমিশন সিডিউল ঘোষণা করবে। আমরা স্থানীয় নির্বাচনও দবসময় দলীয়ভাবে করি। জোটগতভাবে করি না। এর আগে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়নি। তবে এবার শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছে উপজেলা নির্বাচনে আমরা দলীয় প্রতীকে করবো। যারা মনোনয়ন চাইবেন। তাদের প্রথমে তৃণমুল পর্যায়ে রিকোমন্ডেশন আনতে হবে। জেলা-উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি তিনজনের নাম আমাদের কাছে দিবে। সেখান থেকে জরীপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দিবে। আগেও জোটগতভাবে হয়নি এবারও হওয়ার কোনো সম্ভনা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দল অনেক ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ৭৫ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে কম সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। শেষ পর্যন্ত আপনারা দেখেছেন মাত্র দুজন বিদ্রোহী ছিল। এটা আওয়ামী লীগের বৃহত্তর ঐক্যের ফসল।’