৩ মেয়ে ও ১ ছেলে জন্মের কয়েক বছর পরেই স্বর্গবাসী হন স্বামী মহিন্দ্র চন্দ্র রায়। স্বামীর রেখে যাওয়া পূর্ব পুরুষদের আদি ব্যবসা কুমড়বড়ি নিজে তৈরী করে দশ গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রয় করা আর তা দিয়ে সংসারের যাবতীয় খরচ মেটানো।
চারিপাশে পৌষের কনকনে শীত ও শৈত্যপ্রবাহ বৈইছে। সকাল ৯টার সময় জেলার পাঁচবিবির ভীমপুর (জয়পুরহাট বাসস্টান্ড) দেখা যায় ৭০ বছরের উর্ধে সিদু বালা মাথায় খাঁচিভর্তি কুমড়বড়ি বিক্রির জন্য যাচ্ছে গ্রামের উদ্দেশে।
বাসস্টান্ডে বেশ কয়েকজন বাস শ্রমিক কুমড়বড়ি কিনছিল, এসময় কথা হয় বৃদ্ধার সাথে। শেষ বয়সে কেন এই শীতের মধ্যেও এত কষ্ট করছেন।
বৃদ্ধা শীতে কাঁপতে কাঁপতে বলেন, স্বামী কবেই স্বর্গবাসী হয়েছে, তাছাড়া আমাদের জমি-জমা কোন সম্পদও নেই সংসার চালানোর জন্য। স্বামীর রেখে যাওয়া একাজ করেই ৩ মেয়ের বিয়ে দিয়েছি একমাত্র ছেলে সেও বিয়ে করে শশুড় বাড়িতে থাকে আমার কোন খোঁজ-খবর রাখেনা এ কারণে শেষ বয়সেও অতি কষ্টে জীবন যাপন করছি।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমার আগের মেম্বার যদিও ভীমপুর গ্রামের এ সিদু বালার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিদুর মেয়ে-জামায় ও অনেক নাতিনাতনী আছে তাদের অভাব অভিযোগ মেটাতেই সে বৃদ্ধা বয়সে এসেও এমন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।