Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তীব্র শীতে জেলেশূন্য মেঘনা

সেনবাগ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:১৩ PM
আপডেট: ১২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:১৩ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনার পাড়ে মাছ ঘাটগুলোতে জেলে শূন্য হয়ে গেছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে জেলেরা মাছ শিকারে যায় না। মা ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার পর জাটকা ধরা নিষিদ্ধ ছিল। হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মাছ ঘাটগুলোতে ঘুরে ভিন্ন পেক্ষাপট দেখা যায়। নদীতে জেলে শূন্য ফাঁকা নদী। অন্যদিকে ঘাটেও নেই মাছ এবং ক্রেতা-বিক্রেতা।

এ দিকে হাতিয়ার বয়ার চর, নলের চর, কেরিং চর নিয়ে হরনী ইউনিয়ন এবং দ্বীপ হাতিয়ার সুখ চর, চর কিং, চর ঈশ্বর, চর চেঙ্গা এবং জাহাজ মারা ইউনিয়নে নদীর অব্যাহত ভাঙনে কিছুটা পর্যটক ও কমেছে। আর তীব্র শীতের কারণে পর্যটকেরও দেখা মিলছে না।

হাতিয়া উপজেলার জেলে মাইনুদ্দিন বলেন, নদীতে মাছ ধরতে যায় না, কারণ অতিরিক্ত শীত পড়ে। মাছ কিছুটা কম পাওয়া গেলেও জেলেরা মাছ ধরতে যেত। কিন্তু অতিরিক্ত শীতের কারণে মোটেও পাওয়া যায় না। জেলেরা তাই মাছ শিকারে যায় না।

মাঝি আবুল হোসেন বলেন, নদীতে মাছ খুব কম ধরা পড়ে। ইলিশের দেখা তেমন মেলে না। অন্যান্য মাছ মেলে। তবে শীতের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে যায় না। জীবনযাত্রা কেমন চলে জানতে চাইলে বলেন শীতের কারণে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। দিনকাল কোন মতে চলে। শীত কমলে মাঝেমধ্যে যায়।

বয়ারচরের মাছ ঘাটের সভাপতি জানান, প্রচুর শীতের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে যায় না। ঘাটে মাছেরও দেখা মিলে না। শতকরা পাঁচ জন জীবনের তাগিদে যায়। তবে তারা খালি হাতে ফিরে। এবারে শীতকালে ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হবে।

হাতিয়া উপজেলায় প্রায় ৫শ' জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে থাকে। বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন কারণে এরা প্রায় বেকার থাকে। সরকারি সুবিধা তেমন না পাওয়ায় জেলেদের অনেকটাই বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।

এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, শীতের মৌসুমে নদীতে মাছ কম যাতায়াত করে। জোয়ার ভাটা কারণেও মাছ কিনারায় কম আসে। শীতে জোয়ারভাটা কম হয়। পানির নাব্যতা কম থাকে। তাছাড়া জেলেরা শীতে নদীতে খুব কমই মাছ ধরতে যায়। এসব কারণে মাছবাজার-ঘাটে সামুদ্রিক মাছ কম দেখায়।

Bootstrap Image Preview