নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার উত্তর রাজারামপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে জাহেদা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় স্বামী সোহেল (২৭) ও দেবর রুবেলকে (২৩) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সেনবাগ থানার এসআই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে হত্যা মামলার আসামি সোহেলকে ফেনীর ফুলগাজী ও রুবেলকে ট্রাংক রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সেনবাগ উপজেলার উত্তর রাজারামপুর গ্রামে গৃহবধূ শাম্মির স্বামী আবুল হোসেনের পুত্র সোহেল ও ভাসুর ওয়াসিমের নেতৃত্বে পাশবিক নির্যাতন শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে নিহত গৃহবধূর লাশ দাগনভূঁইয়া সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের রেখে স্মামী সোহেল ও ভাসুর ওয়াসিম পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই মাহফুজুর রহমান ওইদিন দুপুরে দাগনভূঁঞা সদর হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। নিহত গৃহবধূ বিজবাগ ইউপির বালিয়াকান্দি গ্রামের সাহাব উদ্দিনের কন্যা। দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং ৫ মাস বয়সের ইশরাত জাহান মুনতাহা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে প্রায় যৌতুকের টাকা নিয়ে মারধর করতো। এ ঘটনায় শাম্মির চাচা আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামীরা তাদের বসতঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রধান আসামি সোহেল ফেনীর ফুলগাজীতে পালিয়ে একটি ডিশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।