Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মুক্তিযোদ্ধা আবু শহীদ'র অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান তার স্ত্রী  

আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৮ PM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৮ PM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ৬নং তালমা ইউনিয়নের জনপ্রিয়, সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু শহীদ মিয়ার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অঙ্গীকার করেছেন তার সহধর্মিনী দেলোয়ারা বেগম। তালমা ইউনিয়নের সবচেয়ে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবু শহীদ মিয়ার মৃত্যুর পর শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে এসেছেন তিনি।

রাতদিন মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তিনি। তার দুই পুত্র কামাল হোসেন মিয়া ও জামাল হোসেন মিয়া বাবার আদর্শে   অনুগত হয়ে জনগণের সেবায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। আবু শহীদ মিয়ার মৃত্যুর পর তালমা ইউনিয়নবাসী অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেলোয়ারা বেগম। তখন থেকেই আবু শহীদ মিয়ার স্থানটি পূরণ করতে তালমাবাসী চেয়ারম্যান পদে দেলোয়ারা বেগমকে দেখতে চান। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আবু শহীদ মিয়া এলাকার মানুষের জন্য নিবেদিত একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবদান ছিল অসামান্য। তার এই অবদানের জন্য নগরকান্দাবাসীই নয়, সারাদেশবাসী তাকে স্মরণ করে।

তারা আরও জানান, আবু শহীদ মিয়ার মৃত্যুর পর তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তার সহধর্মিনী দেলোয়ারা বেগমকে দেখতে চাই। এজন্য উপ-নির্বাচনে আমরা দেলোয়ারা বেগমকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে চাই। আর এজন্য আমরা অন্য কোন প্রার্থী দেখতে চাই না। আমরা চাই আবু শহীদ মিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দেলোয়ারা বেগমকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করতে চাই। 

আবু শহীদ মিয়ার সহধর্মিনী দেলোয়ারা বেগম লিফলেটের মাধ্যমে তালমা ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, একদিন আমি তালমা ইউনিয়নে এসেছিলাম একজন গৃহবধূ রুপে। সময়ের দীর্ঘ পরিক্রমায় সেই আমি আজ হয়ে উঠেছি আপনাদের কারো বোন, কারো চাচী, কারো বা মমতাময়ী খালা। স্নেহ ভালোবাসার অকৃত্রিম বন্ধনে আজও আমাকে বেঁধে রেখেছেন আপনারা। আমার ও আমার পরিবারের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার টান এতটাই গভীর যে, আমার কাছে কখনও মনে হয়নি আমি আপনাদের দূরের মানুষ। আমার কাছে সব সময় মনে হয়, এই ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পথ আমার চিরচেনা।

সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, এই তালমা ইউনিয়নের মাটিতেই যেন হয় আমার শেষ ঠিকানা। রাজনীতি কি? সমাজসেবা কি? তা আমি আমার মরহুম স্বামী আবু শহীদ মিয়ার কাছ থেকেই শিখেছি। তাঁর মধ্যে ছিল খুব সহজে মানুষকে আপন করে নেয়ার অদ্ভুত এক ক্ষমতা। বাবার দেখানো পথে আমার সন্তানেরাও আজ তাদের পিতার মতো মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। অবহেলিত মানুষের ভাগোন্নয়নে কাজ করে যাওয়াই তাদের সব সময়ের ধ্যান-জ্ঞান ও চিন্তা চেতনা।

তিনি বলেন, আমার প্রয়াত স্বামীর শেষ উপদেশগুলো মেনেই আমি আমার জীবনের পথটুকু চলতে চাই। শেষ করতে চাই তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো। এটাই আমার জীবনের স্বপ্ন ও সাধনা। আমার এই স্বপ্ন পূরণে আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগীতা আমার বড় বেশি প্রয়োজন। আশা করি আপনারা আমাকে সেই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে কার্পণ্য করবেন না এটাই আমার বিশ্বাস।

অতীতে আমার প্রয়াত স্বামী যেমন সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিলো, আমিও ঠিক তেমনি করে আপনাদের পাশে থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আজীবন কাজ করে যাবো-ইনশাল্লাহ। 

 

Bootstrap Image Preview