Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফেলানী হত্যার ৮ বছরেও হয়নি বিচার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫৩ AM
আপডেট: ০৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫৪ AM

bdmorning Image Preview


কুড়িগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যা ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১১ সালের এই দিনে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী।

ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ায় সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হয় ফেলানীর নিথর দেহ। এ ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সে ঘটনার আট বছর পূর্ন হয়েছে। তবে সে ঘটনার বিচার এখনো শেষ হয়নি।

জানা যায়, ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানী।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অহরহ ঘটলেও তা খুব একটা আলোচনায় আসেনি আগে। তবে কাঁটাতারে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকার দৃশ্য দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে উঠে এলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে পরপর দুবার ফেলানীর বাবা নুরল ইসলাম সাক্ষী দিয়ে এলেও, অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। পরে ন্যায় বিচারের আশায় ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম-এর (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ) সহায়তায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন ফেলানীর বাবা।

ফেলানী হত্যা মামলায় ফেলানীর পক্ষের আইনজীবী, কুড়িগ্রাম জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানির পর, বার বার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে এখনো ঝুলে আছে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ।

দেশ-বিদেশে সমালোচনার মুখে ফেলানী হত্যার আড়াই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে বিচারকাজ শুরু করে বিএসএফ।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন বিএসএফের আদালত। আবারো সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন একই আদালত। ২০১৪ সালের ২ জুলাই পুনরায় অমিয় ঘোষের বেকসুর খালাসের রায় বহাল রাখেন আদালত।

Bootstrap Image Preview